পাতা:জীবনানন্দ দাশের কাব্যগ্রন্থ (প্রথম খণ্ড).pdf/১৩৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

নিড়ানো খেতের কাজ ক’রে যায় ধীরে ; একটি পাখির মতো ডিনামাইটের পরে ব'সে । পৃথিবীর মহত্তর অভিজ্ঞতা নিজের মনের মুদ্রাদোষে নষ্ট হ’য়ে খ'শে যায় চারিদিকে অামিষ তিমিরে । সোনালি সংযের সাথে মিশে গিয়ে মানুষটা আছে পিছ ফিরে । ভোরের সফটিক রৌদ্রে নগরী মলিন হ’য়ে আসে । মানুষের উৎসাহের কাছ থেকে শ্রম হ’লো মানুষের বত্তি-অাদায় । যদি কেউ কানাকড়ি দিতে পারে বুকের উপরে হাত রেখে তবে সে প্রেতের মতো ভেসে গিয়ে সিংহদরজায় আঘাত হানিতে গিয়ে মিশে যায় অন্ধকার বিশ্বের মতন । অভিভূত হ’য়ে অাছে—চেয়ে দ্যাখো—বেদনার নিজের নিয়ম । নেউলধসের নদী আপনার কাজ বুঝে প্রবাহিত হয় ; জলপাই-অরণ্যের ওই পারে পাহাড়ের মেধাবী নীলিমা ; ওই দিকে সম্মিট যেন উষ্ণ সিহর প্রেমের বিষয় ; প্রিয়ের হাতের মতো লেগে অাছে ঘড়ির সময় ভুলে গিয়ে আকাশের প্রসারিত হাতের ভিতরে । সেই আদি অরণির যুগ থেকে শুরু ক’রে অাজ অনেক মনীষা, প্রেম, নিমীল ফসলরাশি ঘরে এসে গেছে মানুষের বেদনা ও সংবেদনাময় । পথিবীর রাজপথে—রন্তপথে—অন্ধকার অববাহিকায় এখনো মানুষ তব খোঁড়া ঠ্যাঙে তৈমুরের মতো বার হয় । তাহার পায়ের নীচে তৃণের নিকটে তৃণ মকে অপেক্ষায় ; তাহার মাথার পরে সয", সবাতী, সরমার ভিড় ; এদের নত্যের রোলে অবহিত হ’য়ে থেকে ক্ৰমে একদিন কবে তার ক্ষুদ্র হেমন্তের বেলা হবে নিসগের চেয়েও প্রবীণ ? চেয়েছে মাটির দিকে—ভূগভে তেলের দিকে সমস্ত মাথার ঘাম পায়ে ফেলে অবিরল যারা, মাথার উপরে চেয়ে দেখেছে এবার ; দুরবিনে কিমাকার সিংহের সাড়া পাওয়া যায় শরতের নিমে'ঘ রাতে । বনকের উপরে হাত রেখে দেয় তারা । যদিও গিয়েছে ঢের ক্যারাভান ম’রে, মশালের কেরোসিনে মানুষেরা অনেক পাহারা দিয়ে গেছে তেল, সোনা, কয়লা ও রমণীকে চেয়ে ; চিরদিন এই সব হৃদয় ও রনধিরের ধারা । SO6