পাতা:জীবনানন্দ দাশের কাব্যগ্রন্থ (প্রথম খণ্ড).pdf/১৩৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

এক দরজায় ঢুকে বহিস্কৃত হয়ে গেছে অন্য-এক দয়ারের দিকে অমেয় আলোয় হে"টে তারা সব । (আমাদের পবেপরীষেরা কোনো বাতাসের শব্দ শুনেছিলো ; তারপর হয়েছিলো পাথরের মতন নীরব ? ) আমাদের মণিবন্ধে সময়ের ঘড়ি কাচের গেলাশে জলে উজ্জল শফরী ; সমুদ্রের দিবারৌদ্রে আরন্তিম হাঙরের মতো ; তারপর অন্য গ্ৰহ নক্ষত্রেরা আমাদের ঘড়ির ভিতরে যা হয়েছে, যা হতেছে, অথবা যা হবে—সব এক সাথে প্রচারিত করে । সটির নাড়ির পরে হাত রেখে টের-পাওয়া যায় অসম্ভব বেদনার সাথে মিশে রয়ে গেছে অমোঘ আমোদ ; তব তারা করে নাকো পরসপরের ঋণশোধ । जब्तfब्न ? S७8७ অাজকে অনেক দিন পরে আমি বিকেলবেলায় তোমাকে পেলাম কাছে ; শেষ রোদ এখন মাঠের কোলে খেলা করে—নেভে ; এখন অব্যক্ত ঘমে ভ'রে যায় কাচপোকা মাছির হৃদয় ; নদীর পাড়ের ভিজে মাটি চুপে ক্ষয় হ’য়ে যায় অক্ষান্ত ঢেউয়ের বদকে ; ঘাসের ঘনমে শান্ত হয়ে আসে ঘর্ঘ শালিকের গতি ; নিবিড় ছায়ার বুকে ক্ৰমে-ক্রমে পায় অব্যাহতি মাঠের সমস্ত রেখা ; ঝাউফল ঝরে ঘাসে—সান্তবনার মতো এসে বাতাসের হাত অশবথের বদক থেকে নিভিয়ে ফেলেছে খাড়া সম্মাযের আঘাত ; এখনি সে স’রে যাবে পশ্চিমের মেঘ গোরুর গাড়িটি কার খড়ের সুসমাচার বলকে লাল বটফলে থ্যাঁতা মেঠোপথে জারুল ছায়ার নিচে নদীর সমেনখে কতক্ষণ থেমে আছে ;–চেয়ে দ্যাখো নদীতে পড়েছে তার ছায়া ; নিঃশব্দ মেঘের পাশে সমস্ত বিকেল ধ'রে সে-ও যেন মেঘ এক, আহা, শান্ত জলে জুড়োচ্ছে ; এই সব নিস্তবধতা শান্তির ভিতর তোমাকে পেয়েছি আজ এত দিন পরে এই পৃথিবীর পর দু’জনে হাঁটছ ভরা প্রান্তরের কোল থেকে আরো-দর প্রাস্তরের ঘাসে ; উশখনশ খোঁপা থেকে পায়ের নখটি আজ বিকেলের উৎসাহী বাতাসে সচেতন হ’য়ে উঠে আবার নতুন ক’রে চিনে নিতে থাকে ృ99