পাতা:জীবনানন্দ দাশের কাব্যগ্রন্থ (প্রথম খণ্ড).pdf/১৩৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

এই ব্যাপ্ত পটভূমি ;—মহানিমে কোরালির ডাকে হঠাৎ বকের কাছে সব খ:জে পেয়ে । তোমার পায়ের শব্দ, বললে সে, "যেদিন শনিনি মনে হ’তো ব্ৰহ্মাণ্ডের পরিশ্রম ধলোর কণার কাছে তব: কিছু ঋণী ; ঋণী নয় ? # সময় তা বুঝে নেবে••• সেই সব বাসনার দিনগুলো ; ঘাস রোদ শিশিরেয় কণা তারাও জাগিয়ে গেছে আমাদের শরীরের ভিতরে কামনা সেই দিন ; মা-মরা শিশুর মতো আকাংক্ষার মুখখানি কী যে ঃ ক্লান্তি আনে, ব্যথা আনে, তবুও বিরল কিছল নিয়ে আসে নিজে ।” পষ্ট চোখ তুলে সে সন্ধ্যার দিকে ; কত দিন অপেক্ষার পরে আকাশের থেকে আজ শান্তি ঝরে—অবসাদ নেই আর শন্যের ভিতরে।’ রাত্রি হয়ে গেলে তার উৎসারিত অন্ধকার জলের মতন কী-এক শান্তির মতো স্নিগধ হ’য়ে অাছে এই মহিলার মন । হেটে চলি তার পাশে, আমিও বলি না কিছ, কিছুই বলে না ; প্রেম ও উদ্বেগ ছাড়া অন্য-এক স্থির আলোচনা তার মনে ;—আমরা অনেক দরে চলে গেছি প্রান্তরের ঘাসে, দ্ৰোণ ফুল লেগে আছে মেরন শাড়িতে তার—নিম-আমলকীপাতা হালকা বাতাসে চুলের ওপরে উড়ে-উড়ে পড়ে—মুখে চোখে শরীরের সব স্বতা ভীরে, কঠিন এ-সামাজিক মেয়েটিকে দ্বিতীয় প্রকৃতি মনে ক’রে ! অন্ধকার থেকে খ:জে কখন আমার হাত একবার কোলে তুলে নিয়ে গালেরেখো দিলো তার ঃ 'রোগা হ’য়ে গেছো এত—চাপা পড়ে গেছো যে হারিয়ে পথিবীর ভিড়ে তুমি—’ব’লে সে খিন্ন হাত ছেড়ে দিলো ধীরে ; শান্ত মুখে—সময়ের মুখপাত্রীর মতো সেই অপবর্গ শরীরে নদী নেই—হৃদয়ে কামনা ব্যথা শেষ হয়ে গেছে কবে তার ; নক্ষত্রেরা চুরি করে নিয়ে গেছে, ফিরিয়ে দেবে না তাকে আর । পৃথিবীলোক দরে কাছে কেবলি নগর ঘর ভাঙে ; গ্রামপতনের শবদ হয় ; মানুষেরা ঢের যুগ কাটিয়ে দিয়েছে পথিবীতে, দেয়ালে তাদের ছায়া তবন ক্ষতি, মৃত্যু, ভয়, বিহবলতা ব’লে মনে হয় । ゞ○げ