পাতা:জীবনানন্দ দাশের কাব্যগ্রন্থ (প্রথম খণ্ড).pdf/১৪১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সেইদিন এই মাঠ স্তব্ধ হবে লাকে জানি— সেইদিন এই মাঠ স্তবধ হবে নাকো জানি— এই নদী নক্ষত্রের তলে সেদিনো দেখিবে স্বপ্ন— সোনার সবপ্নের সাধ পথিবীতে কবে আর ঝরে ! অামি চ'লে যাব ব’লে চালতাফুল কি আর ভিজিবে না শিশিরের জলে নরম গন্ধের ঢেউয়ে ? লক্ষমীপেঁচা গান গাবে নাকি তার লক্ষমীটির তরে ? সোনার সবপ্নের সাধ পথিবীতে কবে আর ঝরে ! চারিদিকে শান্ত বাতি - ভিজে গন্ধ—মদ কলরব ; খেয়ানোঁকোগুলো এসে লেগেছে চরের খুব কাছে ; পৃথিবীর এইসব গলপ বে'চে রবে চিরকাল ; এশিরিয়া ধুলো আজ—বেবিলন ছাই হয়ে আছে । তোমরা যেখানে সাধ চ’লে যাও—আমি এই বাংলার পারে তোমরা যেখানে সাধ চলে যাও - আমি এই বাংলার পারে র’য়ে যাবে ; দেখিব কাঁঠালপাতা ঝরিতেছে ভোরের বাতাসে ; দেখিব খয়েরী ডানা শালিখের সন্ধ্যায় হিম হ’য়ে আসে ধবল রোমের নিচে তাহার হলদে ঠ্যাং ঘাসে অন্ধকারে নেচে চলে—একবার—দুইবার—তারপর হঠাৎ তাহারে বনের হিজল গাছ ডাক দিয়ে নিয়ে যায় হৃদয়ের পাশে ; দেখিব মেয়েলি হাত সকরণে—শাদা শাঁখা ধসের বাতাসে শঙ্খের মতো কাঁদে ঃ সন্ধ্যায় দাঁড়ালো সে পুকুরের ধারে, খইরঙা হসিটিরে নিয়ে যাবে যেন কোন কাহিনীর দেশে - ‘পরণ-কথা’র গন্ধ লেগে অাছে যেন তার নরম শরীরে, কলমীদামের থেকে জন্মেছে সে যেন এই পুকুরের নীড়ে — নীরবে পা ধোয় জলে একবার—তারপর দুরে নিরুদ্দেশে চ’লে যায় কুয়াশায়,—তব জানি কোনোদিন পথিবীর ভিড়ে হারাব না তারে আমি— সে যে আছে আমার এ বাংলার তীরে । বাংলার মুখ আমি দেখিয়াছি, তাই অামি পৃথিৰীর রূপ বাংলার মুখ আমি দেখিয়াছি, তাই অামি পথিবীর রুপ খুজিতে যাই না আর ঃ অন্ধকারে জেগে উঠে ভুমীরের গাছে চেয়ে দেখি ছাতার মতন বড়ো পাতাটির নীচে বসে আছে ভোরের দয়েলপাখি চারিদিকে চেয়ে দেখি পল্লবের স্তুপ জাম—বট—কাঁঠালের—হিজলের—অশথের করে আছে চুপ ; S8లి