পাতা:জীবনানন্দ দাশের কাব্যগ্রন্থ (প্রথম খণ্ড).pdf/১৪৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

এই নীল বাংলার তীরে শায়ে একা-একা কি ভাবিব, হায় ;– সেদিন রবে না কোনো ক্ষোভ মনে—এই সোঁদা ঘাসের ধলোয় জীবন যে কাটিয়াছে বাংলায়—চারিদিকে বাঙ্গালীর ভিড় বহুদিন কৗতন ভাসান গান রপেকথা যাত্রা পাঁচালীর নরম নিবিড় ছন্দে যারা আজো শ্রাবণের জীবন গোঙায়, অামারে দিয়েছে তৃপিত ; কোনোদিন রপহীন প্রবাসের পথে বাংলার মুখ ভুলে খাঁচার ভিতরে নষ্ট শতকের মতন কাটাইনি দিন মাস, বেহালার লহনার মধরে জগতে তাদের পায়ের ধলো-মাখা পথে বিকায়ে দিয়েছি আমি মন বাঙালী নারীর কাছে—চাল-ধোয়া স্নিগ্ধ হাত, ধান-মাখা, চুল, হাতে তার শাড়িটির কস্তা পাড় ;—ডাশা অাম কামরাঙা কুল । পৃথিবী রয়েছে ব্যস্ত কোনখানে সফলতা শক্তির ভিতর পৃথিবী রয়েছে ব্যস্ত কোনখানে সফলতা শক্তির ভিতর, কোনখানে আকাশের গায়ে রঢ়ে মনমেন্ট উঠিতেছে জেগে, কোথায় মাসতুল তুলে জাহাজের ভিড় সব লেগে আছে মেঘে, জানি নাকো ;–আমি এই বাংলার পাড়াগাঁয়ে বধিয়াছি ঘর ; সন্ধ্যায় যে দাঁড়কাক উড়ে যায় তালবনে –মুখে দু’টো খড় নিয়ে যায়—সকালে যে নিমপাখি উড়ে আসে কাতর আবেগে নীল তেতুিলের বনে—তেমনি কর্ণা এক বনকে আছে লেগে ; ব’ইচির বনে আমি জোনাকির রপে দেখে হয়েছি কাতর ; কদমের ডালে আমি শুনেছি যে লক্ষম পেচা গেয়ে গেছে গান নিশমতি জ্যোৎস্নার রাতে,—টুপ, টুপ টুপ, টুপ সারারাত ঝরে শুনেছি শিশিরগুলো,—মান মুখে গড় এসে করেছে আহবান ভাঙা সোঁদা ইটিগুলো,—তারি বদকে নদী এসে কি কথা মম রে ; কেউ নাই কোনোদিকে – তব যদি জ্যোৎস্নায় পেতে থাক কান শুনিবে বাতাসে শবদ ঃ ‘ঘোড়া চড়ে কই যাও হে রায়রায়ান—’ ঘুমায়ে পড়িব আমি একদিন তোমাদের নক্ষত্রের রাতে ঘুমিয়ে পড়িব অামি একদিন তোমাদের নক্ষত্রের রাতে শিয়রে বৈশাখ মেঘ—শাদা-শাদা যেন কড়ি-শsেথর পাহাড় নদীর ওপার থেকে চেয়ে র’বে—-কোনো এক শঙ্খবালিকার ধসের রাপের কথা মনে হবে—এই আম জামের ছায়াতে কবে যেন তারে অামি দেখিয়াছি—কবে যেন রাখিয়াছে হাতে তার হাত—কবে যেন তারপর শশমান চিতায় তার হাড় ঝ’রে গেছে, কবে যেন ; এ জনমে নয় যেন—এই পাড়াগাঁর -পথে তব তিন শো বছর আগে হয়তো বা—আমি তার সাথে ՏՑԳ