পাতা:জীবনানন্দ দাশের কাব্যগ্রন্থ (প্রথম খণ্ড).pdf/১৪৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কাটিয়েছি ; পাঁচ শো বছর আগে হয়তো বা—সাত শো বছর কেটে গেছে তারপর তোমাদের আম জাম কাঁঠালের দেশে ; ধান কাটা হয়ে গেলে মাঠে মাঠে কতবার কুড়ালাম খড়, বধিলাম ঘর এই শ্যামা আর খঞ্জনার দেশ ভালোবেসে, ভাসানের গান শুনে কতবার ঘর আর খড় গেল ভেসে মাথরের পালা বেধে কত বার ফাঁকা হ’লো খড় অার ঘর । ঘুমায়ে পড়িৰ আমি একদিন তোমাদের লক্ষত্রের রাতে ঘমোয়ে পড়িব আমি একদিন তোমাদের নক্ষত্রের রাতে ; তখনো যৌবন প্রাণে লেগে অাছে হয়তো বা—আমার তরুণ দ্বিন তখনো হয়নি শেষ—সেই ভালো—ঘম আসে— বাংলার তৃণ অামার বুকের নিচে চোখ বসজে-বাংলার অামের পাতাতে কচিপোকা ঘুমায়েছে—আমিও ঘনমায়ে র’ব তাহাদের সাথে, ঘমোব প্রাণের সাধে এই মাঠে —এই ঘাসে—কথাভাষাহীন অামার প্রাণের গলপ ধীরে ধীরে মুছে যাবে – অনেক নবীন নতুন উৎসব রবে উজানের—জীবনের মধর আঘাতে তোমাদের ব্যস্ত মনে ;—তবুও, কিশোর, তুমি নখের অচিত্ত্বে যখন এ ঘাস ছিড়ে চলে যাবে—যখন মানিকমালা ভোরে লাল-লাল বটফল কামরাঙা কুড়াতে আসিবে এই পথে— যখন হলদে বেটিা শেফালীর কোনো এক রকম শরতে করিবে ঘাসের পরে - শালিখ খঞ্জনা অাজ কতোদর ওড়ে— কতোখানি রোদ – মেঘ—টের পাব শময়ে-শয়ে মরণের ঘোরে । যখন মৃত্যুর ঘুমে শুয়ে র’ৰো—অন্ধকারে লক্ষত্রের লিচে যখন মৃত্যুর ঘুমে শময়ে র বো—অন্ধকারে নক্ষত্রের নিচে কাঁঠাল গাছের তলে হয়তো বা ধলেশ্ববরণী চিলাইয়ের পাশে— দিনমানে কোনো মুখ হয়তো সে মশানের কাছে নাহি আসে— তবুও কাঁঠাল জাম বাংলার—তাহাদের ছায়া যে পড়িছে আমার বুকের পরে—আমার মুখের পরে নীরবে ঝরিছে খয়েরী অশখপাতা—ব"ইচি শেয়ালকাঁটা আমার এ দেহ ভালোবাসে, নিবিড় হয়েছে তাই অামার চিতার ছাইয়ে - বাংলার ঘাসে গভীর ঘাসের গুচ্ছে রয়েছি ঘুমায়ে আমি,—নক্ষত্র নড়িছে আকাশের থেকে দর–আরো দর–আরো দর—নিজন আকাশে বাংলার—তারপর অকারণ ঘমে অামি পড়ে যাই চলে ; আবার যখন জাগি, অামার মশানচিতা বাংলার ঘাসে ভীরে অাছে, চেয়ে দেখি,—বাসকের গন্ধ পাই– আনারস ফুলে ভোমরা উড়িছে, শনি—গর্বরে পোকার ক্ষীণ গামরানি ভাসিছে রোদের দপর ভ'রে—শুনি আমি ঃ ইহারা অামারে ভালোবাসে— SBlf