পাতা:জীবনানন্দ দাশের কাব্যগ্রন্থ (প্রথম খণ্ড).pdf/১৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

চোখে তার হিজল কাঠের রন্তিম চিতা জলে ঃ দখিন শিয়রে মাথা শঙ্খমালা যেন পড়ে যায় সে আগমনে হায় । চোখে তার যেন শত শতাবদীর নীল অন্ধকার । স্তন তার করণ শখের মতো – দুধে আদ্ৰ —কবেকার শঙ্খিনীমালার ! এ পথিবী একবার পায় তারে, পায়নাকো অার । লগ্ন নির্জন হাত আবার আকাশে অন্ধকার ঘন হ'য়ে উঠছে ; আলোর রহস্যময়ী সহোদরার মতো এই অন্ধকার । যে আমাকে চিরদিন ভালোবেসেছে অথচ যার মুখ আমি কোনোদিন দেখিনি, সেই নারীর মতো ফালগ্ন আকাশে অন্ধকার নিবিড় হ’য়ে উঠছে । মনে হয় কোনো বিলুপ্ত নগরীর কথা সেই নগরীর এক ধসের প্রাসাদের রপে জাগে হৃদয়ে । ভারতসমুদ্রের তীরে কিংবা ভূমধ্যসাগরের কিনারে অথবা টায়ার সিন্ধর পারে আজ নেই, কোনো এক নগরী ছিল একদিন, কোন এক প্রাসাদ ছিল ; মল্যবান আসবাবে ভরা এক প্রাসাদ ; পারস্য গালিচা, কাশিমরী শাল, বেরিন তরঙ্গের নিটোল মৃত্তা প্রবাল আমার বিলুপ্ত হৃদয়, আমার মত চোখ, আমার বিলীন স্বপ্ন আকাংক্ষা অার তুমি নারী— এই সব ছিলো সেই জগতে একদিন । অনেক কমলা রঙের রোদ ছিলো, অনেক কাকাতুয়া পায়রা ছিলো, ৯মহগনির ছায়াঘন পল্লব ছিলো অনেক ; N অনেক কমলা রঙের রোদ ছিলো, অনেক কমলা রঙের রোদ ; আর তুমি ছিলেanna P 36