পাতা:জীবনানন্দ দাশের কাব্যগ্রন্থ (প্রথম খণ্ড).pdf/১৫৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ধরা দাও,—তাহলে অনন্তকাল থাকিতে যে হ’বে এইবনে-; মৌরির গন্ধমাখা ঘাসের শরীরে ক্লান্ত দেহটিরে রেখে আশিবনের ক্ষেতঝরা কচি-কচি শ্যামা পোকাদের কাছে ডেকে রবো অামি ;–চকোরীর সাথে যেন চকোরের মতন মিলনে ; উঠানে কে রপরতী খেলা করে—ছড়ায়ে দিতেছে বুঝি ধান শালিখেরে ; ঘাস থেকে ঘাস খটে-খটে খেতেছে সে তাই ; হলুদ নরম পায়ে খয়েরী শালিখগুলো ডলিছে উঠান ; চেয়ে দ্যাখো সন্দেরীরে ঃ গোরোচনা রপে নিয়ে এসেছে কিরাই ! নীলনদে—গাঢ় রৌদ্ৰে—কবে আমি দেখিয়াছি – করেছিল স্নান— শ্মশানের দেশে তুমি আসিয়াছ—বহুকাল গেয়ে’গেছ গাল শমশানের দেশে তুমি আসিয়াছ—বহুকাল গেয়ে গেছ গান সোনালি চিলের মতো উড়ে উড়ে আকাশের রৌদ্র আর মেঘে,— লক্ষমীর বাহন যেই স্নিগ্ধ পাখি আশিবনের জ্যোৎস্নার আবেগে গান গায়—শুনিয়াছি রাখিপণিমার রাতে তোমার আহবান তার মতো ; আম চাঁপা কদমের গাছ থেকে গাহে অফুরান যেত স্নিগ্ধ ধান ঝরে ••• অনন্ত সবুজ শালি অাছে যেন লেগে বসুকে তব ; বল্লালের বাংলায় কবে যে উঠিলে তুমি জেগে ; পদ্মা মেঘনা ইছামতি নয় শুধু—তুমি কবি করিয়াছ স্নান সাত সমুদ্রের জলে,—ঘোড়া নিয়ে গেছ তুমি ধৰ্মম নারী দেশে অজনের মতো, আহা,—আরো দর মান নীল রুপের কুয়াশা ফুড়েছ সমপণ তুমি—দর রং আরো দরে রেখা ভালোবেসে ; আমাদের কালীদহ—গাওড় — গাঙের চিল তব ভালোবাসা চায় যে তোমার কাছে—চার, তুমি ঢেলে দাও নিজেরে নিঃশেৰে এই দহে—এই চণ মঠে-মঠে—এই জীণ বটে বাঁধো বাসা । তৰু তাছা ভুল জানি–রাজবল্লভের কীতি ভাঙে কীর্তিলাশ। তব তাহা ভুল জানি-রাজবল্লভের কীতি ভাঙে কাঁতিনাশা ; তবুও পদ্মার রপে একুশরত্নের চেয়ে আরো ঢের গাঢ়— আরো ঢের প্রাণ তার, বেগ তার আরো ঢের জল, জয় আরো ; তোমারো পথিবী পথ ; নক্ষত্রের সাথে তুমি খেলতেছ পাশা: শঙ্খমালা নয় শুধ অনুরাধা রোহিণীর চাও ভালোবাসা, না জানি সে কত অাশা—কত ভালোবাসা তুমি বাসিতে যে পার । এখানে নদীর ধারে বাসমতী ধানগুলো ঝরিছে আবারো ; প্রান্তরের কুয়াশার এইখানে বাদাড়ের যাওয়া আর আসা— এসেছে সন্ধ্যার কাক ঘরে ফিরে ;–দাঁড়ায়ে রয়েছে জীণ মঠ ; ১৫৭