পাতা:জীবনানন্দ দাশের কাব্যগ্রন্থ (প্রথম খণ্ড).pdf/১৫৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

এ-সব কৰিত। আমি যখন লিখেছি ব’সে নিজ মনে এক এ-সব কবিতা আমি যখন লিখেছি ব'সে নিজ মনে একা ; চালতার পাতা থেকে টুপ-টুপ জ্যোৎস্নায় ঝরেছে শিশির ; কুয়াশায় স্থির হয়ে ছিলো মান ধানসিড়ি নদীটির তীর ; বাদুড় অাঁধার ডানা মেলে হিম জ্যোৎস্নায় কাটিয়াছে রেখা আকাঙ্ক্ষার ; নিভু দীপ আগলায়ে মনোরমা দিয়ে গেছে দেখা সঙ্গে তার কবেকার মৌমাছির---কিশোরীর ভিড় আমের বউল দিল শীতরাতে ;–আনিল আতার হিম ক্ষীর ; মলিন আলোয় অামি তাহাদের দেখিলাম,—এ কবিতা লেখা অTহাদের মান চুল মনে ক’রে ; তাহাদের কড়ির মতন ধসের হাতের রােপ মনে ক’রে ; তাহাদের হৃদয়ের তরে । সে কত শতাবদী অাগে তাহাদের করণে শঙ্খের মতো স্তন তাদের হলুদ শাড়ি—ক্ষীর দেহ—তাহাদের অপরাপ মন চ’লে গেছে পৃথিবীর সব চেয়ে শান্ত হিম সাস্তবনার ঘরে ঃ অামার বিষন্ন স্বপ্নে থেকে থেকে তাহাদের ঘুম ভেঙে পড়ে । কতদিন তুমি আমি এইখানে বসিয়াছি ঘরের ভিতর কতদিন তুমি আমি এইখানে বসিয়াছি ঘরের ভিতর খড়ের চালের নিচে, অন্ধকারে ;–সন্ধ্যায় ধসের সজল মদ হাত খেলিতেছে হিজল জামের ডালে—বাদড় কেবল করিতেছে আসা-যাওয়া আকাশের মদন পথে ;—ছিন্ন ভিজে খড় বনকে নিয়ে সনকার মতো যেন পড়ে আছে নরম প্রান্তর ; বাঁকা চাঁদ চেয়ে অাছে ;–কুয়াশায় গা ভাসিয়ে দেয় অবিরল নিঃশব্দ গবরে পোকা – সাপমাসী—ধানী শ্যামাপোকাদের দল ; দিকে-দিকে চাল-ধোয়া গন্ধ মদ-–ধসের শাড়ির ক্ষীণ সবর শোনা যায় ;–মানুষের হৃদয়ের পুরোনো নীরব বেদানার গন্ধ ভাসে ;—খড়ের চালের নিচে তুমি আর আমি কত দিন মলিন আলোয় ব’সে দেখেছি বুঝেছি এই সব ; সময়ের হাত থেকে ছয়টি পেয়ে স্বপনের গোধুলিতে নামি খড়ের চালের নিচে মুখোমুখি বসে থেকে তুমি আর আমি ধসর আলোয় ব’সে কতোদিন দেখেছি বুঝেছি এই সব । এখানে প্রাণের স্রোত আসে যায়—সন্ধ্যায় ঘুমায় নীরৰে এখানে প্রাণের স্রোত অাসে যায়—সন্ধ্যায় ঘুমায় নীরবে মাটির ভিটের পরে—লেগে থাকে অন্ধকার ধুলোর আঘাণ তাহাদের চোখে-মুখে ;–কদমের ডালে পে“চা গেয়ে যায় গান ; মনে হয় একদিন পথিবীতে হয়তো এ-জ্যোৎস্না শধ্যে রবে, ఏశ్రీపై