পাতা:জীবনানন্দ দাশের কাব্যগ্রন্থ (প্রথম খণ্ড).pdf/১৫৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

এই শাঁত রবে শধেন : রাত্রি ভীরে এই লক্ষীপেচা কথা ক’বে— কাঁঠালের ডাল থেকে হিজলের ডালে গিয়ে করিবে আহবান সাপমাসী পোকাটিরে.সেই দিন অাঁধারে উঠবে ন'ড়ে ধান ইদরের ঠোঁটে-চোখে ;–বাদাড়ের কালো ডানা করমচা-পল্পবে কুয়াশারে নিঙড়ায়ে উড়ে যাবে আরো দরে নীল কুয়াশায়, কেউ তাহা দেখিবে না ;—সেদিন এ-পাড়াগরি পথের বিস্ময় দেখিতে পাব না আর—ঘামায়ে রহিবে সব ? যেমন ঘমোয় আজ রাতে মত যারা ; যেমন হতেছে ঘামে ক্ষয় অশ্বখ ঝাউয়ের পাতা চুপে চুপে আজ রাতে, হায় ; যেমন ঘমোয় মতা—তাহার বদকের শাড়ি যেমন ঘমোয় । একদিন যদি আমি কোনো দুর মান্দ্রাজের সমুদ্রের জলে একদিন যদি অামি কোনো দরে মান্দাজের সমুদ্রের জলে ফেনার মতন ভাসি শীত রাতে—আসি নাকো তোমাদের মাঝে ফিরে আর—লিচুর পাতার পরে বহুদিন সাঁঝে যেই পথে আসা-যাওয়া করিয়াছি,—একদিন নক্ষত্রের তলে কয়েকটা নাটাফল তুলে নিয়ে আনারসী শাড়ির আচিলে ফিঙার মতন তুমি লঘণু চোখে চলে যাও জীবনের কাজে, এই শুধু • বেজর পায়ের শব্দ পাতার উপরে যদি বাজে সারারাত - ডানার অস্পষ্ট ছায়া বাদাড়ের ক্লান্ত হয়ে চলে যদি সে-পাতার পরে—শেষ রাতে পৃথিবীর অন্ধকারে শীতে তোমার ক্ষীরের মতো মদন দেহ—ধসের চিবুক, বাম হাত চালতা গাছের পাশে খোড়ো ঘরে স্নিগ্ধ হয়ে ঘুমায় নিভূতে, তবুও তোমার ঘুম ভেঙে যাবে একদিন চুপে অকস্মাৎ, তুমি যে কড়ির মালা দিয়েছিলে—সে হার ফিরায়ে দিয়ে দিতে যখন কে এক ছায়া এসেছিলো • • •দরজায় করেনি আঘাত । দরে পৃথিবীর গন্ধে ভ’রে ওঠে আমার এ বাঙালীর মল দরে পথিবীর গন্ধে ভরে ওঠে আমার এ বাঙালীর মন আজ রাতে ৪ একদিন মৃত্যু এসে যদি দরে নক্ষত্রের তলে অচেনা ঘাসের বদকে আমারে ঘুমায়ে যেতে বলে, তবুও সে ঘাস এই বাংলার অবিরল ঘাসের মতন মউরির মাদ গন্ধে ভ’রে রবে ;–কিশোরীর স্তন প্রথম জননী হ’য়ে যেমন ননীর ঢেউয়ে গলে পৃথিবীর সব দেশে—সব চেয়ে ঢের দরে নক্ষত্রের তলে সব পথে এইসব শান্তি আছে ঃ ঘাস–চোখ—শাদা হাত—স্তন— কোথাও আসিবে মৃত্যু—কোথাও সবুজ মন্দ ঘাস ఏU6