পাতা:জীবনানন্দ দাশের কাব্যগ্রন্থ (প্রথম খণ্ড).pdf/১৬৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বাতাসে ধানের গন্ধ

বাতাসে ধানের শব্দ শুনিয়াছি—ঝরিতেছে ধীরে ধীরে অপরাহ্ন ভ’রে; সোনালি রোদের রঙ দেখিয়াছি–দেহের প্রথম কোন প্রেমের মতন রূপ তার—এলোচুল ছড়ায়ে রেখেছে ঢেকে গূঢ় রূপ—আনারস বন; ঘাস আমি দেখিয়াছি ; দেখেছি সজনে ফুল চুপে-চুপে পড়িতেছে ঝ’রে মৃদু ঘাসে ; শান্তি পায়;দেখেছি হলুদ পাখি বহুক্ষণ থাকে চুপ করে, নির্জন আমের ডালে দুলে যায় - দুলে যায় - বাতাসের সাথে বহুক্ষণ ; শুধু কথা, গান নয়—নীরবতা রচিতেছে আমাদের সবার জীবন বুঝিয়াছি :শুপুরির সারিগুলো দিনরাত হাওয়ায় যে উঠিতেছে ন'ড়ে, দিনরাত কথা কয়, ক্ষীরের মতন ফুল বুকে ধরে, তাহাদের উৎসব ফুরায় না ; মাছরাঙাটির সাথী ম'রে গেছে—দুপরের নিঃসঙ্গ বাতাসে তবু ওই পাখিটির নীল লাল কমলা রঙের ডানা স্ফুট হয়ে ভাসে আম নিম জামরুলে ; প্রসন্ন প্রাণের স্রোত - অশ্রু নাই—প্রশ্ন নাই কিছু, ঝিলমিল ডানা নিয়ে উড়ে যায় আকাশের থেকে দূর আকাশের পিছু; চেয়ে দেখি ঘুম নাই—অশ্রু নাই—প্রশ্ন নাই বটফলগন্ধমাখা ঘাসে ।

একদিন এই দেহ ঘাস থেকে ধানের আঘ্ৰাণ থেকে এই বাংলার একদিন এই দেহ ঘাস থেকে ধানের আঘাণ থেকে এই বাংলার জেগেছিল ; বাঙালি নারীর মুখ দেখে রূপ চিনেছিল দেহ একদিন ; বাংলার পথে পথে হেঁটেছিল গাংচিল শালিখের মতন স্বাধীন ; বাংলার জল দিয়ে ধুয়েছিল ঘাসের মতন স্ফুট দেহখানি তার ; একদিন দেখেছিল ধূসর বকের সাথে ঘরে চ'লে আসে অন্ধকার বাংলার ; কাঁচা কাঠ জ্ব'লে ওঠে—নীল ধোঁয়া নরম মলিন বাতাসে ভাসিয়া যায় কুয়াশার করুণ নদীর মতো ক্ষীণ ; ফেনসা ভাতের গন্ধে আমমুকুলের গন্ধ মিশে যায় যেন বারবার ; এইসব দেখেছিল ; রূপ যেই স্বপ্ন আনে—স্বপ্নে যেই রক্তাক্ততা আছে, শিখেছিল সেইসব একদিন বাংলার চন্দ্রমালা রূপসীর কাছে ; তারপর বেতবনে, জোনাকি ঝিঁঝির পথে হিজল আমের অন্ধকারে ঘুরেছে সে সৌন্দর্যের নীল স্বপ্ন বুকে করে-রূঢ় কোলাহলে গিয়ে তারে— ঘুমন্ত কন্যারে সেই - জাগাতে যায় নি আর—হয়তো সে কন্যার হৃদয় শঙ্খের মতন রুক্ষ, অথবা পদ্মের মতো –ঘুম তবু ভাঙিবার নয় ।

জি তারা কই সব । ওখানে হিজল গাছ ছিলো এক-পুকুরের জলে জ তারা কই সব ? ওখানে হিজল গাছ ছিলো এক—পকুরের জলে দিন মাখ দেখে গেছে তার ; তারপর কি যে তার মনে হ’লো কবে ন সে ঝরে গেল; কখন ফুরাল, আহা,-চ’লে গেল কবে যে নীরবে, ९ थाब्र छानि नाका ;-ळेॉफ़े-छा७ माँक्लकाक धे বেলগাছটির তলে SU&