পাতা:জীবনানন্দ দাশের কাব্যগ্রন্থ (প্রথম খণ্ড).pdf/১৭২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

প্রতিটি রেশম থেকে সীতা তার অগ্নিপরীক্ষায়— অথবা গ্রীসেটর রন্ড করবীফুলের মতো লাল । মানুষ সবাদা যদি s মানুষ সব দা যদি নরকের পথ বেছে নিতো — ( সবগে পৌছবার লোভ সিন্ধাথাও গিয়েছিলো ভুলে, ) অথবা বিষম মদ স্বতই গেলাসে ঢেলে নিতো, পরচুলা এ-টে নিতো স্বাভাবিক চুলে, সব দা এ-সব কাজ ক’রে যেত যদি যেমন সে প্রায়শই করে, পরচুলা তবে কার সন্দেহের বসতু হ’তো, আহা, অথবা মুখোশ খুলে খুশি হ’তো কে নিজের মুখের রগড়ে চাবাক পভৃতি— ‘কেউ দুরে নেপথ্যের থেকে, মনে হয়, মানুষের বৈশিষ্ট্যের উত্থান-পতন একটি-পাখির জন্ম –কীচকের জন্মমৃতু্য সব বিচারসাপেক্ষভাবে নিয়ন্ত্রণ করে ।” ‘তবএৈই অনুভূতি আমাদের মত জীবনের কিংবা মরণের কোনো মলেসত্ৰ নয় । তবুও শওখলা ভালোবাসি ব’লে হে’য়ালি ঘনালে মাত্তিকার অন্ধ সত্যে অবিশ্ববাস হয়ে ।” ব’লে গেল বায় লোকে নাগাজন, কৌটিল্য, কপিল, চাব কি প্রভূতি নিরীশ্বর ; অথবা তা এড়িথ, মলিনা নাম্নী অগণন নাসের ভাষা— অবিরাম যুদ্ধ আর বাণিজ্যের বায়র ভিতর । সমুদ্রতীরে পৃথিবীতে তামাশার সরে ক্ৰমে পরিচ্ছন্ন হ’য়ে জন্ম নেবে একদিন , আমোদ গভীর হ’লে সব বিভিন্ন মানুষ মিলে মিশে গিয়ে যে-কোনো আকাশে মনে হবে পরস্পরের প্রিয়প্রতিষ্ঠ মানব । এই সব বোধ হয় আজ এই ভোরের অালোর পথে এসে জহরে সমুদ্রপারে, অগণন ঘোড়া ও ঘেসেড়াদের ভিড়ে । এদের সবজন, বোন, বাপ-মা ও ভাই, ট্যাক, ধমৰ্শ মরেছে ; তবুও উচ্চস্বরে হেসে ওঠে অফুরন্ত রৌদ্রের তিমিরে । S98