পাতা:জীবনানন্দ দাশের কাব্যগ্রন্থ (প্রথম খণ্ড).pdf/১৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ধানসিড়ি নদীর কিনারে আমি শয়েছিলাম—পউষের রাতে— কোনোদিন আর জাগবো না জেনে _ কোনোদিন জাগবো না আমি— কোনোদিন জাগবো না আর – হে নীল কস্তুরী আভার চাঁদ, তুমি দিনের আলো নও, উদ্যম নও, স্বপ্ন নও, হৃদয়ে যে মৃত্যুর শান্তি ও স্থিরতা রয়েছে, রয়েছে যে অগাধ ঘমে, সে অাসবাদ নষ্ট করবার মতো শেলতীব্রতা তোমার নেই, তুমি প্রদাহ প্রবহমান যন্ত্রণা নও— জানো না কি চাঁদ, নীল কস্তুরী আভার চাঁদ, জানো না কি নিশীথ, অামি অনেক দিন—অনেক অনেক দিন অন্ধকারের সারাৎসারে অনন্ত মৃত্যুর মতো মিশে থেকে হঠাৎ ভোরের আলোর মখে উচ্ছাসে নিজেকে পথিবীর জীব ব’লে বুঝতে পেরেছি আবার ; ভয় পেয়েছি, পেয়েছি অসীম দীনিবার বেদনা ; দেখেছি রঞ্জিম আকাশে সযে জেগে উঠে মানষিক সৈনিক সেজে পথিবীর মুখোমুখি দাঁড়াবার জন্য আমাকে নিদেশ দিয়েছে ; আমার সমস্ত হৃদয় ঘণায় –বেদনায়—আক্লোশে ভরে গিয়েছে ; সযের রৌদ্রে আক্লান্ত এই পথিবী যেন কোটি-কোটি শয়োরের আতনাদে উৎসব শুরু করেছে । হায়, উৎসব ! হৃদয়ের অবিরল অন্ধকারের ভিতর সযকে ডুবিয়ে ফেলে আবার ঘমোতে চেয়েছি আমি, অন্ধকারের স্তনের ভিতর যোনির ভিতর অনন্ত মৃত্যুর মতো মিশে থাকতে চেয়েছি । কোনোদিন মানুষ ছিলাম না আমি । হে নর, হে নারী, তোমাদের পথিবীকে চিাননি কোনদিন ; আমি অন্য কোনো নক্ষত্রের জীব নই। যেখানে পন্দন, সংঘর্ষ, গতি, যেখানে উদ্যম, চিন্তা, কাজ, সেখানেই সযে, পথিবী, বহম্পতি, কালপরষ, অনন্ত আকাশগ্রন্থি, শত শত শংকরের চিৎকার সেখানে, শত শত শকেরীর প্রসববেদনার আড়ম্বর ; ఏఏ