পাতা:জীবনানন্দ দাশের কাব্যগ্রন্থ (প্রথম খণ্ড).pdf/২১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মানষেকে স্থির—স্থিরতর হতে দেবে না সময় ; সে কিছর চেয়েছে ব’লে এত রক্ত নদী । অন্ধকার প্রেরণার মতো মনে হয় দর সাগরের শব্দ—শতাব্দীর তীরে এসে ঝরে ঃ কাল কিছু হয়েছিলো ;–হবে কি শাশ্ববতকাল পরে । प्ल'उम 'আমাকে খোজো না তুমি বহদিন-কতদিন আমিও তোমাকে খুজি নাকো ;–এক নক্ষত্রের নিচে তব-—একই আলো পৃথিবীর পারে আমরা দু’জনে আছি ; পথিবীর পুরনো পথের রেখা হয়ে যায় ক্ষয়, প্রেম ধীরে মুছে যায়, নক্ষত্রেরও একদিন মরে যেতে হয়, হয় নাকি ?—বলে সে তাকাল তার সঙ্গিনীর দিক ; আজ এই মাঠ সময সহধমনী অন্ত্রাণ কাতিকে প্রাণ তার ভ’রে গেছে । দ.পনে আজকে তারা চিরস্থায়ী পথিবী ও আকাশের পাশে আবার প্রথম এলো —মনে হয় –যেন কিছু চেয়ে –কিছল একান্ত বিশ্বাসে । লালচে হলদে পাতা অনুষঙ্গে জাম বট অশ্বখের শাখার ভিতরে অন্ধকারে নড়ে-চড়ে ঘাসের উপর ঝরে পড়ে ; তারপর সান্ত্বনায় থাকে চিরকাল । যেখানে আকাশে খর্ব নীরবতা, শান্তি খুব আছে, হৃদয়ে প্রেমের গলপ শেষ হ’লে ক্ৰমে-ক্ৰমে যেখানে মানুষ অাখবাস খুজেছে এসে সময়ের দায়ভাগী নক্ষত্রের কাছে ঃ সেই ব্যাপ্ত প্রান্তরে দুজন ; চারিদিকে ঝাউ আম নিম নাগেশবরে হেমন্ত আসিয়া গেছে ;—চিলের সোনালি ডানা হয়েছে খয়েরি ; ঘুঘর পালক যেন ঝরে গেছে - শালিকের নেই আর দেরি, হলদে কঠিন ঠ্যাং উচু করে ঘমোবে সে শিশিরের জলে ; ঝরিছে মরিছে সব এইখানে—বিদায় নিতেছে ব্যাপ্ত নিয়মের ফলে । নারী তার সঙ্গীকে ; পথিবীর পরোনো পথের রেখা হয়ে যায় ক্ষয়, জানি আমি ; –তারপর আমাদের দুঃস্থ হৃদয় কী নিয়ে থাকিবে বল ; – একদিন হৃদয়ে আঘাত ঢের দিয়েছে চেতনা, তারপর ঝরে গেছে ; আজ তব মনে হয় যদি ঝরিত না হৃদয়ে প্রেমের শীষ আমাদের –প্রেমের অপব শিশু আরম্ভ বাসনা ফুরোত না যদি, আহা, আমাদের হৃদয়ের থেকে—’ এই ব’লে মিয়মাণ অচিলের সব স্বতা দিয়ে মুখ ঢেকে উদ্বেল কাশের বনে দাঁড়িয়ে রহিল হাঁটুভর । হলুদ রঙের শাড়ি, চোরকাঁটা বিধে আছে, এলোমেলো অঘ্রাণের খড় ՀՏ