পাতা:জীবনানন্দ দাশের কাব্যগ্রন্থ (প্রথম খণ্ড).pdf/২২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

চারিদিকে শান্য থেকে ভেসে এসে ছয়ে ছেনে যেতেছে শরীর ; চুলের উপর তার কুয়াশা রেখেছে হাত; ঝরিছে শিশির ;– প্রেমিকের মনে হল ঃ ‘এই নারী-অপরপে—খ:জে পাবে নক্ষত্রের তীরে ; যেখানে রব না আমি, রবে না মাধুরী এই, রবে না হতাশা, কুয়াশা রবে না আর—জনিত বাসনা নিজে —বাসনার মতো ভালোবাসা খ:জে নেবে অমতের হরিণীর ভিড় থেকে ঈপ্সিতেরে তার।’ অবশেষে এখানে প্রশান্ত মনে খেলা করে উচু উঁচু গাছ । সবুজ পাতার পরে যখন নেমেছে এসে দপুরের সায্যের অাঁচ নদীতে সমরণ করে একবার পথিবীর সকাল বেলাকে । আবার বিকেল হ’লে অতিকায় হরিণের মতো শান্ত থাকে এই সব গাছগুলো ;–যেন কোনো দরে থেকে অপঘট বাতাস বাঘের প্রাণের মতো হৃদয়ে জাগায়ে যায় ত্রাস ; চেয়ে দেখ—ইহাদের পরস্পর নীলিম বিন্যাস নড়ে ওঠে ত্রস্ততায় ;–আধো নীল আকাশের বকে হরিণের মতো দ্রুত ঠ্যাঙের তুরকে অন্তহিত হয়ে যেতে পারে তারা বটে ; একজোটে কাজ করে মানুষেরা যে রকম ভোটের ব্যালটে ; তবুও বাঘিনী হয়ে বাতাসকে আলিঙ্গন করে – সাগরের বালি অার রাত্রির নক্ষত্রের তরে । স্বপ্নের ধ্বনিরা সবপ্নের ধবনিরা এসে ব’লে যায় ঃ বিরতা সব চেয়ে ভালো ; নিস্তবধ শীতের রাতে দীপ জেলে অথবা নিভায়ে দীপ বিছানায় শ'য়ে সথবিরের চোখে যেন জমে ওঠে অন্য কোন বিকেলের অালো । সেই আলো চিরদিন হয়ে থাকে সিথর, সব ছেড়ে একদিন আমিও স্থবির হয়ে যাব ; সেদিন শীতের রাতে সোনালি জরির কাজ ফেলে প্রদীপ নিভায়ে রব বিছানায় শয়ে ; অন্ধকারে ঠেস দিয়ে জেগে রবো বাদাড়ের অাঁকাবাঁকা আকাশের মতো । স্থবিরতা, কবে তুমি আসিবে বলো তো । २९