পাতা:জীবনানন্দ দাশের কাব্যগ্রন্থ (প্রথম খণ্ড).pdf/২৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

হয়ে আছে । তার মাখ মনে পড়ে এ-রকম স্নিগ্ধ পথিবীর পাতাপতঙ্গের কাছে চলে এসে ; চারিদিকে রাত্রি নক্ষত্রের আলোড়ন এখন দয়ার মতো ; তবুও দয়ার মানে মৃত্যুতে স্থির হ’য়ে থেকে ভুলে যাওয়া মানুষের সনাতন মন । হাজার বছর শুধু খেলা করে হাজার বছর শুধ খেলা করে অন্ধকারে জোনাকির মতো ঃ চারিদিকে চিরদিন রাত্রির নিধান ; বালির উপরে জ্যোৎস্না—দেবদার ছায়া ইতস্তত বিচরণ থামের মতো ঃ দ্বারকার,—দাঁড়ায়ে রয়েছে মাত, মান । শরীরে ঘুমের ঘাণ আমাদের–খচে গেছে জীবনের সব লেনদেন ; ‘মনে আছে ? সন্ধালো সে—সুধালাম আমি শুধ, ‘বনলতা সেন ? ৰূরঞ্জনা সরঞ্জনা, আজো তুমি আমাদের পথিবীতে আছো ; পৃথিবীর বয়সিনী তুমি এক মেয়ের মতন ; কালো চোখ মেলে ঐ নীলিমা দেখেছ ; গ্রীক হিন্দ ফিনিশীয় নিয়মের রুঢ় আয়োজন শনেছ ফেনিল শব্দে তিলোত্তমা—নগরীর গায়ে কী চেয়েছে ? কী পেয়েছে ? —গিয়েছে হারায়ে । বয়স বেড়েছে ঢের নরনারীদের, ঈষৎ নিভেছে স্যা নক্ষত্রের আলো ; তবুও সমুদ্র নীল ; ঝিনকের গায়ে আলপনা ; একটি পাখির গান কী রকম ভালো । মানুষ কাউকে চায়—তার সেই নিহত উজ্জবল ঈশ্বরের পরিবতে' অন্য কোনো সাধনার ফল । মনে পড়ে কবে এক তারাভরা রাতের বাতাসে ধমাশোকের ছেলে মহেন্দ্রের সাথে উতরোল বড় সাগরের পথে অন্তিম আকাঙ্ক্ষা নিয়ে প্রাণে তব কাউকে আমি পারিনি বোঝাতে । সেই ইচ্ছা সঙ্ঘ নয় শক্তি নয়, কর্মীদের সন্ধীদের বিবণতা নয়, আরো আলো ঃ মানুষের তরে এক মানুষীর গভীর হৃদয় । যেন সব অন্ধকার সমুদ্রের ক্লান্ত নাবিকেরা মক্ষিকার গঞ্জনের মতো এক বিহবল বাতাসে ভূমধ্যসাগরলীন দরে এক সভ্যতার থেকে ՀՓ