পাতা:জীবনানন্দ দাশের কাব্যগ্রন্থ (প্রথম খণ্ড).pdf/২৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ভাই বোন বন্ধ পরিজন পড়ে আছে ; পথিবীর গভীর গভীরতর অসুখ এখন ; মানুষ তবুও ঋণী পথিবীরই কাছে ৷ ‘ · কেবলি জাহাজ এসে আমাদের বন্দরের রোদে দেখেছি ফসল নিয়ে উপনীত হয় ; সেই শস্য অগণন মানুষের শব ; শব থেকে উৎসারিত সবণের বিসময়ে আমাদের পিতা বন্ধ কনফুশিয়সের মতো আমাদেরো প্রাণ মকে ক’রে রাখে ; তব চারিদিকে রক্তক্লান্ত কাজের আহবান । সচেতনা, এই পথে আলো জেলে – এ পথেই পথিবীর ক্ৰমমন্তি হবে ; সে অনেক শতাব্দীর মনীষীর কাজ । এ-বাতাস কি পরম সযকরোজল ;– প্রায় তত দরে ভালো মানব-সমাজ আমাদের মতো ক্লান্ত ক্লান্তিহীন নাবিকের হাতে গড়ে দেবো, আজ নয়, ঢের দর অন্তিম প্রভাতে । মাটি-পুথিবীর টানে মানবজন্মের ঘরে কখন এসেছি, না এলেই ভালো হত অনুভব করে ; এসে যে গভীরতর লাভ সে-সব বুঝেছি শিশির শরীর ছয়ে সমাজবল ভোরে ; দেখেছি যা হ’লো হবে মানুষের যা হবার নয়— শাশ্বত রাত্রির বাকে সকলি অনন্ত সযোদয় । অভ্ৰাণ প্রান্তরে ‘জানি আমি তোমার দ’ চোখ আজ আমাকে খোঁজে না আর পথিবীর পরে— বলে চুপে থামলাম, কেবলি অশ্বখপাতা পড়ে আছে ঘাসের ভিতরে শুকনো মিয়ানো ছে'ড়া ;- অম্ৰাণ এসেছে আজ পথিবীর বনে ; সে সবের ঢের আগে আমাদের দু’জনের মনে হেমন্ত এসেছে তব ; বললে সে, ‘ঘাসের ওপরে সব বিছানো পাতার মখে এই নিস্তবধতা কেমন যে—সন্ধ্যার আবছা অন্ধকার ছড়িয়ে পড়েছে জলে ;–কিছুক্ষণ আঘাণের অস্পষ্ট জগতে হাঁটলাম, চিল উড়ে চলে গেছে—কুয়াশার প্রান্তরের পথে দ্য একটা সজারুর আসা যাওয়া ; উচ্ছল কলার ঝাড়ে উড়ে চুপে সন্ধ্যার বাতাসে লক্ষীপেচা হিজলের ফাঁক দিয়ে বাবলার অাঁধার গলিতে নেমে আসে ; আমাদের জীবনের অনেক অতীত ব্যাপিত আজো যেন লেগে আছে বহতা পাখায় ঐ সব পাখিদের ; ঐ সব দরে দরে ধানক্ষেতে, ছাতকুড়োমাখা ক্লান্ত জামের শাখায় ; নীলচে ঘাসের ফুলে ফড়িঙের হৃদয়ের মতো নীরবতা Հե