পাতা:জীবনানন্দ দাশের কাব্যগ্রন্থ (প্রথম খণ্ড).pdf/২৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ছড়িয়ে রয়েছে এই প্রাস্তরের বদকে আজ হেটে চলি আজ কোন কথা নেই আর আমাদের ; মাঠের কিনারে ঢের ঝরা ঝাউফল পড়ে আছে ; শান্ত হাত, চোখ তার বিকেলের মতন অতল কিছর আছে ; খড়কুটো উড়ে এসে লেগে অাছে শাড়ির ভিতরে, সজনে পাতার গড়ি চুলে বেধে গিয়ে নড়ে চড়ে ; পতঙ্গ পালক জল—চারিদিকে সমযের উজ্জবলতা নাশ ; আলেয়ার মতো ঐ ধানগুলো নড়ে শন্যে কিরকম অবাধ আকাশ হয়ে যায় ; সময়ও অপার—তাকে প্রেম অাশা চেতনার কণা ধরে অাছে বলে সে-ও সনাতন ; –কিন্তু এই ব্যথা ধারণা সরিয়ে মেয়েটি তার অচিলের চোরকাঁটা বেছে প্রান্তর নক্ষত্র নদী আকাশের থেকে সরে গেছে সেই পষ্ট নিলিপিততে—তাই-ই ঠিক ; –ওখানে স্নিগধ হয় সব । অপ্রেমে বা প্রেমে নয়—নিখিলের বক্ষ নিজ বিকাশে নীরব । পথহাট। কি এক ইশারা যেন মনে রেখে একা-একা শহরের পথ থেকে পথে অনেক হেটেছি আমি ; অনেক দেখেছি আমি ট্রাম-বাস সব ঠিক চলে ; তারপর পথ ছেড়ে শান্ত হয়ে চলে যায় তাহাদের ঘুমের জগতে ঃ সারা রাত গ্যাসলাইট আপনার কাজ বুঝে ভালো করে জন্বলে । কেউ ভুল করে নাকো—ই'ট বাড়ি সাইনবোড জানালা কপাট ছাদ সব চুপ হয়ে ঘমোবার প্রয়োজন বোধ করে আকাশের তলে । একা-একা পথ হেটে এদের গভীর শান্তি হৃদয়ে করেছি অনুভব ; তখন অনেক রাত—তখন অনেক তারা মনমেন্ট মিনারের মাথা নিজ নে ঘিরেছে এসে ;—মনে হয় কোনোদিন এর চেয়ে সহজ সম্ভব আর কিছর দেখেছি কি ঃ একরাশ তারা আর মনমেণ্ট-ভরা কলকাতা ? চোখ নিচে নেমে যায়—চুরট নীরবে জৰলে—বাতাসে অনেক ধন্লো খড় ; চোখ বুজে একপাশে সরে যাই—গাছ থেকে অনেক বাদামী জীণ পাতা উড়ে গেছে ; বেবিলনে একা একা এমনই হেটেছি আমি রাতের ভিতর কেন যেন ; আজো আমি জানিনাকো হাজার হাজার ব্যস্ত বছরের পর l. ২৯