পাতা:জীবনানন্দ দাশের কাব্যগ্রন্থ (প্রথম খণ্ড).pdf/৩৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ঘরে গেছে চাষা ; ঝিমায়েছে এ-পথিবী, তব আমি পেয়েছি যে টের কার যেন দটো চোখে নাই এ-ঘামের কোনো সাধ । শেষবার তার সাথে যখন হয়েছে দেখা মাঠের উপরে বলিলাম—'একদিন এমন সময় আবার আসিয়ো তুমি—আসিবার ইচ্ছা যদি হয়— প*াঁচশ বছর পরে ।” এই ব’লে ফিরে আমি আসিলাম ঘরে ; তারপর, কতোবার চাঁদ আর তারা, মাঠে-মাঠে ম'রে গেল, ই’দর-পে'চারা জ্যোৎস্নায় ধানখেত খ:জে এলো গেল ;–চোখ বুজে কতোবার ডানে আর বাঁয়ে পড়িল ঘামায়ে কতো-কেউ ; রহিলমে জেগে আমি একা ; নক্ষত্র যে-বেগে ছুটিছে আকাশে তার চেয়ে আগে চ’লে আসে যদিও সময়, প'চিশ বছর তব কই শেষ হয় । তারপর - একদিন আবার হলদে তৃণ ভীরে অাছে মাঠে, পাতায়, শুকনো ডাঁটে ভাসিছে কুয়াশা দিকে দিকে, চড়য়ের ভাঙা বাসা শিশিরে গিয়েছে ভিজে-পথের উপর পাখির ডিমের খোলা, ঠান্ডা -কড় কড় ; শসাফুল—দু-একটা নষ্ট শাদা শসা, মাকড়ের ছোঁড়া জাল—শুকনো মাকড়সা লতায়—পাতায় ; ফুটফুটে জ্যোৎস্নারাতে পথ চেনা যায় ; দেখা যায় কয়েকটা তারা হিম আকাশের গায়—ই’দর-পে'চারা இல் প"াঁচশ বছর পরে