পাতা:জীবনানন্দ দাশের কাব্যগ্রন্থ (প্রথম খণ্ড).pdf/৩৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কোনোদিন শুনিবে না তুমি তাহা,—জানি আমি— আজ রাতে আমার আহবান ভেসে যাবে পথের বাতাসে,— তবুও হৃদয়ে গান আসে । তুমি জল—তুমি ঢেউ—সমুদ্রের ঢেউয়ের মতন তোমার দেহের বেগ— তোমার সহজ মন ভেসে যায় সাগরের জলের আবেগে । কোন ঢেউ তার বদকে গিয়েছিলো লেগে কোন অন্ধকারে জানে না সে !—কোন ঢেউ তারে অন্ধকারে খুজিছে কেবল জানে না সে ! রাত্রির সিন্ধর জল, রাত্রির সিন্ধর ঢেউ তুমি এক ; তোমার কে ভালোবাসে !—তোমারে কি কেউ বসুকে ক’রে রাখে । জলের আবেগে তুমি চলে যাও,— জলের উচ্ছৰাসে পিছে ধন-ধ জল তোমারে যে ডাকে ! তুমি শধে একদিন,—এক রজনীর !— মানুষের—মTনষীর ভিড় তোমারে ডাকিয়া লয় দুরে—কত দুরে । কোন সমুদ্রের পারে,—বনে—মাঠে—কিবা যে-আকাশ জড়ে উলকার আলেয়া শুধু ভাসে !— কিবা যে-আকাশে কাস্তের মত বাঁকা চাঁদ জেগে ওঠে,—ভুবে যায়, —তোমার প্রাণের সাধ তাহাদের তরে ! যেখানে গাছের শাখা নড়ে শীত রাতে,—মড়ার হাতের শাদা হাড়ের মতন — যেইখানে বন আদিম রাত্রির ঘাণ বসুকে লয়ে অন্ধকারে গাহিতেছে গান !— তুমি সেইখানে । নিঃসঙ্গ বসকের গানে নিশীথের বাতাসের মত একদিন এসেছিলে,— দিয়েছিলে এক রাত্রি দিতে পারে যত । ළුණූ