পাতা:জীবনানন্দ দাশের কাব্যগ্রন্থ (প্রথম খণ্ড).pdf/৪৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পাখির মতন কে’পে—ডানা মেলে—হিম-চোখ বুজে অধীর পাতার মতো পৃথিবীর মাঠের সবুজে উড়ে-উড়ে ঘর ছেড়ে কতো দিকে গিয়েছে সে ভেসে,— নীড়ের মতন বলকে একবার তার মুখ গজে ঘুমাতে চেয়েছে,—তবর-—ব্যথা পেয়ে গেছে ফে*সে,— তখন ভোরের রোদে আকাশে মেঘের ঠোঁট উঠেছিলো হেসে । আলোর চুমায় এই পৃথিবীর হৃদয়ের জম্বর ক’মে যায় ;—তাই নীল-আকাশের সবাদ —সচ্ছলতা— পণে ক’রে দিয়ে যায় পথিবীর ক্ষুধিত গহবর ; মানুষের অন্তরের অবসাদ—মৃত্যুর জড়তা সমুদ্র ভাঙিয়া যায় ;—নক্ষত্রের সাথে কয় কথা যখন নক্ষত্র তব আকাশের অন্ধকার রাতে— তখন হৃদয়ে জাগে নতুন যে এক অধীরতা,— তাই ল’য়ে সেই উষ্ণ-আকাশেরে চাই যে জড়াতে গোধুলির মেঘে মেঘে, নক্ষত্রের মতো রবো নক্ষত্রের সাথে । আমারে দিয়েছ তুমি হৃদয়ের যে এক ক্ষমতা ওগো শক্তি,—তার বেগে পৃথিবীর পিপাসার ভার, বাধা পায়, জেনে লয় নক্ষত্রের মতন সবচ্ছতা ! অামারে করেছ তুমি অসহিষ্ণু—ব্যথা—চমৎকার ! জীবনের পারে থেকে যে দেখেছে মৃত্যুর ওপার, কবর খুলেছে মুখ বার-বার যার ইশারায়, বীণার তারের মতো পৃথিবীর আকাঙক্ষার তার তাহার আঘাত পেয়ে কে’পে-কে"পে ছিড়ে শধে যায় ! একাকী মেঘের মত ভেসেছে সে—বৈকালের অালোয়—সন্ধ্যT ! সে এসে পাখির মত স্থির হ’য়ে বাঁধে নাই নীড়,— তাহার পাখায় শুধ লেগে আছে ত7র-— অস্থিরতা ! অধীর অন্তর তারে করিয়াছে অস্থির—অধীর । তাহারি হদয় তারে দিয়েছে ব্যাধের মতো ব্যথা । একবার তাই নীল আকাশের অালোর গাঢ়তা তাহারে করেছে মগধ,—অন্ধকার নক্ষত্র আবার তাহারে নিয়েছে ডেকে,—জেনেছে সে এই চঞ্চলতা জীবনের ;–উড়ে-উড়ে দেখেছি সে মরণের পার এই উদ্বেলতা ল’য়ে নিশীথের সমুদ্রের মতো চমৎকার ! গোধুলির অালো ল’য়ে দপুরে সে করিয়াছে খেলা, স্বপ্ন দিয়ে দুই চোখ একা-একা রেখেছে সে ঢাকি ; SO