পাতা:জীবনানন্দ দাশের কাব্যগ্রন্থ (প্রথম খণ্ড).pdf/৪৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ঘনমন্ত বাঘের বদকের বিষের বাণের মত বিষম সে—ক্ষত । আলো আর অন্ধকারে তার ব্যথা-বিহবলতা লেগে, তাহার বুকের রক্তে পৃথিবী হতেছে শুধু লাল !— মেঘের চিলের মতো—দুরন্ত চিতার মতো বেগে ছুটে যাই,–পিছে আসিতেছে বৈকাল-সকাল পৃথিবীর ; - যেন কোন মায়াবীর নষ্ট-ইন্দ্ৰজাল কাঁদিতেছে ছি*ড়ে গিয়ে ! কে‘পে কে‘পে পড়িতেছে ঝ’রে । আরো কাছে আসিয়াছি তব অাজ,— আরো কাছে কাল আসিব তবুও আমি ; দিন-রাত্রি রয় পিছে প’ড়ে,— তারপর একদিন কুয়াশার মতো সব বাধা যাবে স’রে সিন্ধর ঢেউয়ের তলে অন্ধকার রাতের মতন হৃদয় উঠিতে আছে কোলাহলে কোঁপে বার–বার ! কোথায় রয়েছে অালো জেনেছে তা,—বুঝেছে তা মন,— চারিদিকে ঘিরে তারে রহিয়াছে যদিও অাঁধার ! একদিন এই গুহা ব্যথা পেয়ে আহত হিয়ার বাঁধন খুলিয়া দেবে 1—অধীর ঢেউয়ের মত ছুটে সেদিন সে খুজে লবে ওই দনর নক্ষত্রের পার ! সমুদ্রের অন্ধকারে গহবরের ঘুম থেকে উঠে দেখিবে জীবন তার খুলে গেছে পাখির ডিমের মতো ফুটে । পরস্পর মনে পড়ে গেল এক রপেকথা ঢের আগেকার, কহিলাম,—শোনো তবে, — لی۔ শুনিতে লাগিব সবে,— শুনিল কুমার ; কহিলাম,—দেখেছি সে চোখ বাজে আছে, ঘমোনো সে এক মেয়ে, – নিঃসাড় পরীতে এক পাহাড়ের কাছে ; সেইখানে আর নেই কেহ, -- এক ঘরে পালণ্ডেকর পরে শুধু একখানা দেহ পড়ে আছে, —পথিবীর পথে—পথে রপে খ:জে—খ:জে তারপর, —তারে আমি দেখেছিগো,—সেও চোখ বুজে প’ড়েছিলো ;-- মসৃণ হাড়ের মতো শাদা হাত দুটি বসুকের উপরে তার রয়েছিলো উঠি । আসিবে না গতি যেন কোনোদিন তাহার দু’পায়ে, পাথরের মত শাদা গায়ে এর যেন কোনোদিন ছিলো না হৃদয়,— কিবা ছিলো—-অামার জন্য তা নয় । 8bf