পাতা:জীবনানন্দ দাশের কাব্যগ্রন্থ (প্রথম খণ্ড).pdf/৬১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কোথাও অনেক বনে - মেইখানে জ্যোৎস্না:আর নাই পরবষ হরিণ সব শানিতেছে শবদ তার, তাহারা পেতেছে টের, আসিতেছে তার দিকে । অাজ এই বিস্ময়ের রাতে তাহাদের প্রেমের সময় আসিয়াছে ; তাহাদের হৃদয়ের বন বনের আড়াল থেকে তাহাদের ডাকিতেছে জ্যোৎস্নায়— পিপাসার সান্ত্বনায়—আঘাণে—আসবাদে ; কোথাও বাঘের সাড়া বনে আজ নাই আর যেন ; মগদের বসুকে আজ কোনো পাট ভয় নাই, সন্দেহের আবছায়া নাই কিছল ; কেবল পিপাসা আছে, রোমহষ আছে । মগীর মুখের রুপে হয়তো চিতারও বলকে,জেগেছে বিসময় ; লালসা-আকাঙ্ক্ষা-সাধ-প্রেম-স্বপ্ন সক্ষুটaহ’য়ে উঠতেছে সব দিকে আজ এই বসন্তের রাতে ; এইখানে আমার নকটান । একে একে হরিণেরা অTiসতেছে গভীর বনের পথ ছেড়ে, সকল জলের শবদ পিছে ফেলে অন্য এক আ*বাসের খোঁজে দাঁতের—নখের কথা ভুলে গিয়ে তাদের বোনের কাছে ওই সুন্দরী গাছের নীচে—জ্যোৎস্নায় ; মানুষ যেমন করে ঘাণ পেয়ে আসে তার নোনা মেয়েমানুষের কাছে হরিণেরা অাসিতেছে ! —তাদের পেতেছি আমি টের অনেক পায়ের শবদ শোনা যায়, ঘাইমগী ডাকিতেছে জ্যোৎসনায় । ঘুমাতে পারি না আর ; শয়ে শয়ে থেকে বন্দুকের শব্দ শুনি ; তারপর বন্দুকের শব্দ শুনি । চাঁদের আলোয় ঘাইহরিণী আবার ডাকে-; এইখানে পড়ে থেকে একা-একা আমার হৃদয়ে এক অবসাদ জ’মে ওঠে বন্দুকের শব্দ শুনে শুনে হরিণীর ডাক শুনে-শ্যনে । কাল মাগী আসিবে কিরিরা ; ఆసి