পাতা:জীবনানন্দ দাশের কাব্যগ্রন্থ (প্রথম খণ্ড).pdf/৬৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

তাহারাও তোমার মতন ; , , ক্যাপের বিছানায় শতয়ে থেকে শুকাতেছে তাদেরো হৃদয় কথা ভেবে – কথা ভেবে-ভেবে । এই-ব্যথা—এই প্রেম সব দিকে র’য়ে গেছে— কোথাও ফড়িঙে-কীটে—মানুষের ব:কের ভিতরে, আমাদের সবের জীবনে । বসন্তের জ্যোৎস্নায় ওই মত মগদের মতো আমরা সবাই । জীবন চারিদিকে বেজে ওঠে অন্ধকার সমুদ্রের সবর,— নতুন রাত্রির সাথে পৃথিবীর বিবাহের গান ! ফসল উঠিছে ফ’লে—রসে রসে ভরিছে শিকড় ; লক্ষ নক্ষত্রের সাথে কথা কয় পৃথিবীর প্রাণ ! সে কোন প্রথম ভোরে পৃথিবীতে ছিলো যে সন্তান অঙ্কুরের মতো আজ জেগেছে সে জীবনের বেগে । অামার দেহের গন্ধে পাই তার শরীরের ঘ্রাণ,— সিন্ধর ফেনার গন্ধ আমার শরীরে আছে লেগে ! পৃথিবী রয়েছে জেগে চক্ষ মেলে,—তার সাথে সে-ও আছে জেগে । ૨ নক্ষত্রের অালো জেবলে পরিৎকার আকাশের পর কখন এসেছে রাত্ৰি –পশিচমের সাগরের জলে তার শব্দ–উত্তর সমুদ্র তার,—দক্ষিণ সাগর তাহার পায়ের শবেদ—তাহার পায়ের কোলাহলে ভ'রে ওঠে ;—এসেছে সে আকাশের নক্ষত্রের তলে প্রথম যে এসেছিলো, তারি মতো ;–তাহার মতন চোখ তার,—তাহার মতন চুল—বুকের অচিলে প্রথম মেয়ের মতো ;–পৃথিবীর নদী মাঠ বন আবার পেয়েছে তারে,—সমুদ্রের পারে রাত্রি এসেছে এখন ! ප সে এসেছে,—আকাশের শেষ অালো পশিচমের মেঘে সন্ধ্যার গহবর খুজে পালায়েছে ! —রস্তে-রন্তে লাল হয়ে গেছে বকে তার,—অাহত চিতার মতো বেগে পালায়ে গিয়েছে রোদ,—স’রে গেছে আলোর বৈকাল ! চ’লে গেছে জীবনের ‘আজ এক—অার এক ‘কাল’ আসিত না যদি আর আলো লয়ে—রৌদ্র সঙ্গে ল’য়ে – এই রাত্রি—নক্ষত্র সমুদ্র ল’য়ে এমন বিশাল আকাশের বনক থেকে পড়িত না যদি আর ক্ষ’য়ে – রয়ে যেতো,—যে-গান শুনিনি আর তাহার সমতির মতো হয়ে ! (تاون