পাতা:জীবনানন্দ দাশের কাব্যগ্রন্থ (প্রথম খণ্ড).pdf/৬৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মেঘের ঘোড়ার পরে আকাশের শিকারীর মতো ;– সিন্ধর সাপের মতো লক্ষ ঢেউয়ে তোলে আলোড়ন । চমৎকৃত কর,—শরীরের তুমি করেছ আহত — · যতই জেগেছে,—দেহ আমাদের ছিড়ে যেতে চেয়েছে যে তত । ১২ তব তুমি শীত-রাতে আড়ষ্ট সাপের মতো শায়ে হৃদয়ের অন্ধকারে পড়ে থাকো,—কুণ্ডলী পাকায়ে !— অপেক্ষায় ব’সে থাকি,—সফুলিঙ্গের মতো যাবে ছয়ে কে তোমারে —ব্যাধের পায়ের পাড়া দিয়ে যাবে গায়ে কে তোমারে —কোন আশ্রম, কোন পীড়া হতাশার ঘারে কখন জাগিয়া ওঠো ;–স্থির হয়ে ব’সে অাছি তাই । শীত-রাত বাড়ে অারো,—নক্ষত্রেরা যেতেছে হারায়ে,— ছাইয়ে যে-অাগন ছিলো সেই সবও হ’য়ে যায় ছাই ! তবুও আরেক বার সব ভস্মে অন্তরের আগুন ধরাই ! ১৩ অশান্ত হাওয়ার বসুকে তব আমি বনের মতন জীবনের ছেড়ে দিছি –পাতা আর পল্লবের মতো জীবন উঠেছে বেজে শবেদ—সবরে ;–যতবার মন ছিড়ে গেছে,—হয়েছে দেহের মতো হৃদয় আহত যতবার ;–উড়ে গেছে শাখা, পাতা প’ড়ে গেছে যতো ;— পৃথিবীর বন হয়ে—ঝড়ের গতির মত হ’য়ে, বিদ্যতের মতো হ’রে আকাশের মেঘে ইতস্তত ;— একবার মৃত্যু ল’য়ে—একবার জীবনেরে লয়ে ঘণি'র মতন ব’য়ে যে-বাতাস ছেড়ে,—তার মতো গেছি বয়ে । ఏ8 কোথায় রয়েছে আলো অাঁধারের বীণার অাসবাদ ! ছিন্ন রুগ্ন ঘমেন্তের চোখে এক সচ্ছে স্বপ্ন হ’য়ে জীবন দিয়েছে দেখা ;—আকাশের মতন অবাধ পরিচ্ছন্ন পথিবীতে, সিন্ধর হাওয়ার মতো ব’য়ে জীবন দিয়েছে দেখা ;—জেগে উঠে সেই ইচ্ছা ল’য়ে আড়ষ্ট তারার মত চমকায়ে গেছি শীত-মেঘে । ঘরমায়ে যা দেখি নাই, জেগে উঠে তার ব্যথা স'য়ে নিজ’ন হতেছে ঢেউ হৃদয়ের রক্তের আবেগে । —যে-অালো নিভিয়া গেছে তাহার ধোঁয়ার মতো প্রাণ আছে জেগে ! ఏ& নক্ষত্র জেনেছে কবে এই অর্থ শঙ্খলতা ভাষা ! বীণার তারের মত উঠিতেছে বাজিয়া আকাশে ჯyvყ