পাতা:জীবনানন্দ দাশের কাব্যগ্রন্থ (প্রথম খণ্ড).pdf/৬৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মৃত্যুর শান্তির স্বাদ এইখানে দিতেছে জীবন,— জীবনেরে এইখানে একবার দেখি ভালোবেসে ! শনে দেখি,—কোন কথা কয় রাত্রি, কোন কথা নক্ষত্র বলে সে ? ఫిలి পৃথিবীর অন্ধকার অধীর বাতাসে গেছে ভ’রে— শস্য ফ’লে গেছে মাঠে,—কেটে নিয়ে চলে গেছে চাষা ; নদীর পারের বন মানুষের মতো শবদ ক’রে নিজন ঢেউয়ের কানে মানুষের মনের পিপাসা,— মৃত্যুর মতন তার জীবনের বেদনার ভাষা,— আবার জানায়ে যায় !—কবরের ভূতের মতন পৃথিবীর বসুকে রোজ লেগে থাকে যে অাশা হতাশা,— বাতাসে ভাসিতেছিল ঢেউ তুলে সেই আলোড়ন !— মড়ার কবর ছেড়ে পথিবীর দিকে তাই ছুটে গেল মন । 8 হলদে পাতার মতো,—অালেয়ার বাপের মতন, ক্ষীণ বিদ্যতের মতো ছোঁড়া-মেঘ আকাশের ধারে, আলোর মাছির মতো—-রসগ্নের সবপ্নের মতো মন একবার ছিল ঐ পৃথিবীর সমুদ্র পাহাড়ে,— ঢেউ ভেঙে ঝ’রে যায়,—ম’রে যায়,—কে ফেরাতে পারে! তবুও ইশারা করে ফালগুন-রাতের গন্ধে বয়ে মৃত্যুরেও তার সেই কবরের গহবরে অাঁধারে জীবন ডাকিতে আসে ;–হয় নাই—গিয়েছে যা হয়ে, মৃত্যুরেও ডাকো তুমি সেই ব্যথা আকাঙ্ক্ষার অস্হিরতা ল’য়ে ! ૨ (; মৃত্যুরে বন্ধর মতো ডেকেছি তো,—প্রিয়ার মতন — চকিত শিশুর মতো তার.কোলে লুকায়েছি মুখ ; রোগীর জন্বরের মতো পৃথিবীর পথের জীবন ; অসুসহ চোখের পরে অনিদ্রার মতন অসুখ ; তাই আমি প্রিয়তম ;–প্রিয়া ব’লে জড়ায়েছি বসুক,— ছায়ার মতন আমি হয়েছি তোমার পাশে গিয়া ?— যে-ধােপ নিভিয়া যায় তার ধোঁয়া অাঁধারে মিশকে,— যে-ধোঁয়া মিলায়ে যায় তারে তুমি বনকে তুলে নিয়া ঘুমানো গন্ধের মতো স্বপ্ন হ’য়ে তার ঠোঁটে চুমো দিও, প্রিয়া ; ミや মৃত্যুরে ডেকেছি আমি প্রিয়ের অনেক নাম ধ’রে । যে-বালক কোনোদিন জানে নাই গহবরের ভয়, পুবের হাওয়ার মতো ভূত হয়ে মন তার ঘোরে । లను