পাতা:জীবনানন্দ দাশের কাব্যগ্রন্থ (প্রথম খণ্ড).pdf/৮০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

যেইজন বেধেছিল বাসা – ' মাটির শরীরে তার ছিলো যে-পিপাসা, আর সেই ব্যথা ছিলো,—সেই ঠোঁট, চুল, যেই চোখ,—যেই হাত,—আর যে-আঙল রক্ত আর মাংসের সপশসখভরা,— যেই দেহ একদিন পথিবীর ঘাণের পসরা পেয়েছিলো,—আর ধানীসরা করেছিলো পান, একদিন শুনেছে যে জল আর ফসলের গান, দেখেছে যে ওই নীল আকাশের ছবি মানুষ-নারীর মুখ,—পরষে—সত্রীর দেহ সবি যার হাত ছীয়ে আজো উষ্ণ হয়ে অাছে,— ফিরিয়া আসিবে সে কি তাহাদের কাছে ! প্রণয়ীর মতো ভালোবেসে খ:জিবে কি এসে একখানা দেহ শাধন – হারায়ে গিয়েছে কবে কত্তকালে কাঁকরে এ-মাটির পরে ! অন্ধকারে সাগরের জল ছেনেছে আমার দেহ,—হয়েছে শীতল চোখ—ঠোঁট—নাসিকা—অাঙল তাহার ছোঁয়াচে ;–ভিজে গেছে চুল শাদা-শাদা ফেনাফুলে ; কতবার দরে উপকূলে তারা ভরা আকাশের তলে বালকের মতো এক—সমুদ্রের জলে দেহ ধয়ে নিয়া জেনেছি দেহের সবাদ ;–গেছে বকে—মখে পরশিয়া রাঙা রোদ,—নারীর মতন এ-দেহ পেয়েছে যেন তাহার চুম্বন ফসলের ক্ষেতে ! প্রথম প্রণয়ী সে যে, কাতিকের ভোরবেলা দরে যেতে-যেতে থেমে গেছে সে আমার তরে ! চোখ দু’টো ফের ঘামে ভরে যেন তার চুমো খেয়ে ! এ-দেহ,—অলস মেয়ে পরলষের সোহাগে অবশ — চুমে ল’য়ে রৌদ্রের রস হেমন্ত বৈকালে むO