পাতা:জীবনানন্দ দাশের কাব্যগ্রন্থ (প্রথম খণ্ড).pdf/৮৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বেতের লতার নিচে চড়য়ের ডিম যেন শন্ত হয়ে অাছে, নরম জলের গন্ধ দিয়ে নদী বার-বার তীরটিরে মাখে, খড়ের চালের ছায়া গাঢ় রাতে জ্যোৎস্নার উঠানে পড়িয়াছে ; বাতাসে ঝি"ঝি"র গন্ধ—বৈশাখের প্রাস্তরের সবুজ বাতাসে ; নীলাভ নোনার বুকে ঘন রস গাঢ় আকাঙ্ক্ষায় নেমে আসেন; আমরা দেখেছি যারা নিবিড় বটের নিচে লাল-লাল ফল প’ড়ে আছে ; নিজন মাঠের ভিড় মুখ দেখে নদীর ভিতরে ; যত নীল আকাশেরা র’য়ে গেছে খ:জে ফেরে আরো নীল আকাশের তল পথে-পথে দেখিয়াছি মদ চোখ ছায়া ফেলে পথিবীর পরে ; আমরা দেখেছি যারা শুপারির সারি বেয়ে সন্ধ্যা আসে রোজ, প্রতিদিন ভোরে আসে ধানের গুচ্ছের মত সবুজ সহজ ; আমরা বুঝেছি যারা বহুদিন মাস ঋতু শেষ হ’লে পর পৃথিবীর সেই কন্যা কাছে এসে অন্ধকারে নদীদের কথা ক’য়ে গেছে ;—আমরা বুঝেছি যারা পথ ঘাট মাঠের ভিতর আরো-এক আলো আছে ঃ দেহে তার বিকালবেলার ধসেরতা ; চোখের দেখার হাত ছেড়ে দিয়ে সেই আলো হ’য়ে অাছে স্থির ঃ পৃথিবীর কঙ্কাবতী ভেসে গিয়ে সেইখানে পায় মান ধাপের শরীর ; আমরা মৃত্যুর আগে কি বুঝিতে চাই অার ? জানি না কি আহা, সব রাঙা কামনার শিয়রে যে দেয়ালের মতো এসে জাগে ধসর মৃত্যুর মুখ ;–একদিন পথিবীতে স্বপ্ন ছিলো—সোনা ছিল যাহা নিরুক্তর শান্তি পায় ;–যেন কোন মায়াবীর প্রয়োজনে লাগে ! কি বুঝিতে চাই আর ?•••রৌদ্র নিভে গেলে পাখ-পাখালীর ডাক শুনিনি কি ? প্রান্তরের কুয়াশায় দেখিনি কি উড়ে গেছে কাক ! স্বপ্নের হাতে পথিবীর বাধা—এই দেহের ব্যাঘাতে হৃদয়ে বেদনা জমে ;–সবপ্নের হাতে আমি তাই অামারে তুলিয়া দিতে চাই ! ষে সব ছায়া এসে পড়ে দিনের—রাতের ঢেউয়ে,—তাহাদের তরে জেগে অাছে আমার জীবন ; সব ছেড়ে আমাদের মন ধরা দিতো যদি এই সবপ্নের হাতে । পথিবীর রাত আর দিনের আঘাতে বেদনা পেত না তবে কেউ আর,— থাকিত না হৃদয়ের জরা,— しfぐ。