পাতা:জীবনানন্দ দাশের কাব্যগ্রন্থ (প্রথম খণ্ড).pdf/৯০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পাখি ঘামায়ে রয়েছ তুমি ক্লান্ত হয়ে, তাই আজ এই জ্যোৎস্নায় কাহারে জানাই আমার এ-বিসময়—বিসময়ের ঠাঁই নক্ষত্রের থেকে এলো ;–তুমি জেগে নাই, আমার বকের পরে এই এক পাখি ; পাখি ? না ফড়িং কাঁট? পাখী ? না জোনাকি ? বাদামি সোনালি নীল রোম তার রোমে-রোমে রেখেছে সে ঢাকি, এমন শীতের রাতে এসেছে একাকী নিস্তবধ ঘাসের থেকে কোন ধানের ছড়ার থেকে কোথায় কখন, রেশমের ডিম থেকে এই শিহরণ পেয়েছে সে এই শিহরণ ! জ্যোৎস্নায়— শাঁতে কাহারে সে চাহিয়াছে ? কতদর চেয়েছে উড়িতে ? মাঠের নিজ ন খড় তারে ব্যথা দিতে এসেছিলো ? কোথায় বেদনা নাই এই পথিবীতে । না—না—তার মুখে স্বপ্ন সাহসের ভর ব্যথা সে তো জানে নাই—বিচিত্র এ-জীবনের পর করেছে নিভর ; রোম—ঠোঁট—পালকের এই তার মগধ আড়ম্বর । জ্যোৎস্নায়—শীতে আমার কঠিন হাতে তব তারে হলো যে আসিতে, যেই মৃত্যু দিকে-দিকে অবিরল—তোমারে তা দিতে কেন দ্বিধা ? অদশ্য কঠিন হাতে আমিও বসেছি পাখি, আমারেও মনুষড়ে ফেলিতে দ্বিধা কেহ করিবে না ; জানি আমি, ভুল ক’রে দেবো নাকো ছেড়ে ; তব আহা, রাতের শিশিরে ভেজা এ রঙীন তুলোর বলেরে কোমল আঙুল দিয়ে দেখি আমি চুপে নেড়ে-চেড়ে, সোনালি উজল চোখে কোন এক ভয় যেন ঘেরে তব তার ; এই পাখি-এতটুকু—তব সব শিখেছে-সে—এক বিস্ময় সষ্টির কাঁটেরও বকে এই ব্যথা ভয় ; আশা নয়—সাধ নয়—প্রেম স্বপ্ন নয় >0