পাতা:জীবনানন্দ দাশের কাব্যগ্রন্থ (প্রথম খণ্ড).pdf/৯২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

গভীর শীতের রাতে—ব্যথা কম পাবে বলে—সেই সমারোহ অার চাই? জীবন একাকী আজো—ব্যথা আজো—এখন করি না তব বিয়োগের ভয় এখন এসেছে প্রেম ;–কার সাথে ? কোন খানে ? জানি নাকো ;—তব সে আমারে মাঠে-মাঠে নিয়ে যায়—তারপর পথিবীর ঘাস পাতা ডিম নীড় ; সে এক বিসময় এ-শরীর রোগ নখ মুখ চুল—এ জীবন ইহা যাহা ইহা যাহা নয় ; রঙীন কীটের মতো নিজের প্রাণের সাধে একরাত মাঠে জেগে রয় ! ७हे जब বারবার সেই সব কোলাহল সমারোহ রীতি রক্ত,—কান্তি লাগে যেন ; তাহারা অনেক জানে—এই দরে মাঠে আমি খুজি নাকো জীবনের মানে *, *. শধ এই মাঠ—রাত—আমারে ডেকেছে, আহা,—বলেছি ; যাবে না আর’—কেন কেন যাবো ? এই ধলো খড় গাভী হসি জ্যোৎস্না ছেড়ে আমি যাবো কোনখানে, সেখানে চিন্তার ব্যথা—ব্যথা না কি ? আজ রাতে শুধ, আমি শান্তির আকাশ চেয়েছি যে—সেই ভালো—কথা কাজ প্রশ্ন শধে ভুল করে—ব্যথা বহে আনে, শান্তি ভালো—বাদামী পাতার ঘ্ৰাণ ভালো না কি ? পাখির সোনালি চোখ–ঘাস কোথায় বিবরে তার মাছরাঙা—তার রঙ তার নীড় –হৃদয়ের সাধ এই নিয়ে কথা ভাবা এইখানে—ছবি অাঁকা —মদ ছবি-নরম উচ্ছাস ; ই'দর ধানের শিষ বেয়ে ওঠে ঃ এই ছড়া এই সোনা আকাশের চাঁদ এরা যেন নীড় তার—আমারো হৃদয় আজ চুপ হ’য়ে শুধ, রঙ প্ৰাণ শুধ শান্তি—নিঃশব্দতা—আবিস্কার ;–এই সব এই সব সঞ্চয়ের সবাদ জীবনেরে এই বলে জানিতেছে—জ্যোৎস্না আরো শান্ত হ’য়ে ভরেছে উঠান রারি আরো ছবি হয়ে রপে হয়ে ঘাসের কীটের মুখে শনিতেছে গান । তাই শান্তি রাত আরো বাড়িতেছে—এক সারি রাজহাঁস চুপে-চুপে চলে যায় তাই, এই শান্ত রাত্রিময় পথিবীরে ইহাদের পালকের নরম ধবল তুলি দিয়ে অাঁকে এরা—পথিবীতে এই বিজনতা যেন কোনোখানে নাই এই ছবি—এই শান্তি—ঘাসের উপরে আজ অাঁধার দেখায় অবিরল এই সব ; কোথায় উৎসব যেন শুধ রপ্ত—শুধ, রাঢ় বিবাহের গান জীবনের অসন্দ্রম ;-পথিবীর সত্ৰম ভুলে হতেছে না কঠিন চঞ্চল ! সন্ধ্যার মেঘের পথে দাঁড়কাক তব; জানে অন্য এক বিশ্রাম কল্যাণ অন্য এক ক্ষমা শান্তি সমারোহ--আমিও শুনেছি সেই পাখিদের সম্বর ১২