পাতা:জীবনানন্দ দাশের কাব্যগ্রন্থ (প্রথম খণ্ড).pdf/৯৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বনেছিলো ; দরে বনো মোরগের বকে তাই এই রাতে জেগেছে বিস্ময়— তাহার অধীর শব্দ শুনি আমি—সোনার তীরের মতো জলপায়রার বকে এসে এই জ্যোৎস্না ব্যথা দেয়—সহসা গভীর রাত ব্যস্ত যেন হয় pীদের মুখের পরে অনেক মশার পাখা ছোটো-ছোটো পাখিদের মতো উড়িতেছে ;–মিটি ব্যথা এই সব—জ্যোৎস্নার মাংস খাটে লয় ; শরের জঙ্গল নদী ছেড়ে দিয়ে বসনো হাঁস উড়ে চলিতেছে ক্ৰমাগত । চাঁদ থেকে আরো দরে চ"াদে-চ"াদে—কতো হাস চ"াদ কতো-কতো । ৰৈতরণী কি যেন কখন আমি মৃত্যুর কবর থেকে উঠে আসিলাম জামারে দিয়েছে ছয়টি বৈতরণী নদী শকুনের মতো কালো ডানা মেলে পথিবীর দিকে উড়িলাম সাত-দিন সাত-রাত উড়ে গেলে সেই আলো পাওয়া যায় যদি পথিবীর আলো প্রেম ? অামারে দিয়েছে ছটি বৈতরণী নদী । সাত-দিন শেষ হলো—তখন গভীর রাত্রি পথিবীর পাৱে আমার মতন ক্ষিপ্র ক্লান্ত এক শকুনের পাল দেখিলাম আসিতেছে চোখ বলজে উড়ে অন্ধকারে তাহারা এসেছে দেখে পথিবীর সকাল বিকাল ক্লান্ত ক্লান্ত শকুনের পাল ! শধোলাম ঃ "তোমাদের দেখেছি যে বৈতরণী পারে সেইখানে ঘুম শুধ—শুধু রাত্রি—মতু্যর নদীর পারে, আহা, পৃথিবীর ঘাম রোদ মাছরাঙা আলো-ব্যস্ততারে ভালো কি লাগেনি, আহা,’—শধোলাম — শকুনেরা শুনিল না তাহা, ডুবে গেল অন্ধকারে, আহা ! একজন রয়ে গেল—বিবণ বিস্তৃত পাখা ঘরোয়ে সে মাঝ শন্যে থেমে ঃ ‘কোথায় যেতেছ তুমি ? পথিবীতে ? সেইখানে কে অাছে তোমার ? ‘আমি শধ্যে নাই, হায়, আর সবই রয়ে গেছে—সকালে এসেছি আমি নেবে বৈতরণী ঃ তার জলে ;–যারা তব ভালোবাসে—ভালোবাসিবার পথিবীতে রয়েছে আমার ।’ খানিক ভাবিল কি যে সেই প্রাণ—ক্লান্ত হলো—তারপর পাখা কখন দিয়েছে মেলে বৈতরণী নদীটির দিকে ; &&