পাতা:জীবনানন্দ সমগ্র (চতুর্থ খণ্ড).pdf/১১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

—‘একটু কিছু খেতে হয়” —“আমার জৰ্দা ফুরিয়ে গেছে - খানিকটা জৰ্দা দিতে পাৱ ?” —“জৰ্দা খাবে শুধু ? —“জৰ্দা পেলে দুটো পান খেতে পারি – ' —‘জৰ্দা অামি এনে দেব না তোমাকে —” —‘অাজ রাতের মতন জৰ্দা অামার কাছে অাছে । কাল সকালে অমলকে দিয়ে অনাব— চলে যাচ্ছিলাম— “আমাকে একটু জৰ্দা কিনে এনে দেবে ?” ‘বললে না তোমার কাছে রয়েছে—- —“কোনো জৰ্দা নেই ।” —“পয়সা দাও ।” —‘পয়সা তো অামার কাছে নেই ।” ‘অামার কাছেও তো নেই ।” ‘কী করে এনে দেবে তা হলে ? জৰ্দা না-হলে তো চলবে না। অামার ।" ধীরে-ধীরে বিছানার উপর উঠে বসে অঞ্জলি –‘সত্যি পয়সা নেই ? না বি:ি কিনবার জন্য লুকিয়ে রেখেছ ?” মাথা নেড়ে—“বিড়ি তো না, চুরুট ; তা চুরুটও আমি অনেক দিন হয়, । ছেড়ে দিয়েছি ।” —“বয়স তিরিশ পেরিয়ে গেছে –এম-এ পাশ করেছ একযুগ অাগে, তবুও একটা পয়সা যদি সম্বল নেই তোমার –মেয়েমানুষকে জীবনে আকাঙ্ক্ষা করতে গিয়েছিলে কেন ?” অঞ্জলি –“একটা খাঁচার পাখিকে পুষতে হলেও তো নিঃসম্বল হণে চলে না !! অথচ সৃষ্টির সব চেয়ে বড় জিনিশ নিয়ে খেল। করলে কপৰ্দকহীন হয়ে ---" নিঃশব্দে বাতাস খেতে-খেতে অঞ্জলি —‘পরজন্মে বিশ্বাস অাছে ? ” —‘কী জানি, বলতে পারি না। ।” ‘অাজকের এই পাপে পথের পাশে কুকুরটি হয়ে যদি জন্মাও ?” —“তা বলতে পারি, জন্মালে—- একটু চুপ থেকে অঞ্জলি—‘একটা কথা ভেবে বড় সানা পাই । পরস্পরে,