পাতা:জীবনানন্দ সমগ্র (চতুর্থ খণ্ড).pdf/১৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অঞ্জলি অাবার খাট ছেড়ে উঠে চলে গেল । মাথা হেঁট করে চুপ করে বসেছিলাম । খানিক ক্ষণ পরে তাকিয়ে দেখলাম অঞ্জলি টেবিলের অরিশির কাছে ভিতরে নিজের মুখের দিকে তাকিয়ে পাথরের মত নিস্তদ্ধ হয়ে বসে অাছে । অনেক সূক্ষণ বসে রইল । তারপর এসে বললে —“কী লোনি কেমনতর ?” ‘নাঃ, কিছু না ।” ‘ভাবছিলাম, কপালে একটু সি'র দেব ।” ‘তা দিলেই পারে। ।” ‘দেব-দেব বলেই তারাশির সামনে বসেছিলাম ।” যেতে হলে গাডি ও লাগবে একটু চুপ থেকে -“যা বলছিলাম, এই যে বললে পাশ যোগাভ করে আনা। যায় ; অরোর। বায়রোপের সেই নাকি এখন পুরোপুরি মালিক হয়েছে । বললাম ‘সে সহসদয় হু গে মান ষ-— হয় ত বরে পাশ দিয়ে দেবে ।” ‘তা লাগবে বলছিলে—তোমার জীবনটা । —“গা৬ি৩াড়ার জোগা ড করতে হয় তা হলে ? অামার মুখের দিকে তাকিয়ে --"না, অাস্তাবণের ও পাশ পাওয়া যাবে ? একটু হেসে —“গা৬ি৬াডার বা বস্থা অামি করব ‘কাপড়-চোপ ৬ পরি তা হলে ? —“পরো ." ই-কি ।” যেন ‘না সে-বন্ধুর সঙ্গে আগে কথাবাৰ্তা বলে আসবে ?” ‘কী দরকার ?” —‘শেষ মুহূর্তের জন্য ফেলে রাখবে ? তখন যদি পাশের কোনো বা বস্থা না। থাকে ” ‘তা হলে পয়সা দিয়ে যাব ।” অঞ্জলি একটু হেসে অামার হাত চেপে ধরে—“কেন, টাকা কোথায় পেলে বলো তো —“মার সিদুরের কোঁটোর থেকে ।”