পাতা:জীবনানন্দ সমগ্র (চতুর্থ খণ্ড).pdf/১৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অামার হাত ছেড়ে দিয়ে অঞ্জলি — ছি, সি’ দুরের কোঁটোর টাকা। এ-রকম ভাবে খরচ করবে ? নোয়া-সিদুর সম্বন্ধে অামার ও কোনো অন্ধ ধারণা নেই অঞ্জলি, তোমারও নেই কিছু । অঞ্জলি ভু: কুচকে—“অন্ধ ধারণা কাকে বলো তুমি ? ” —’না হয় বললাম স্বজন শ্ৰ স্বা, অাছে কি সিরের প্রতি তোমার ? অামার তো নেই ।” —“তুমি কি মনে করো সিরিকে আমি মনে-মনে উপেক্ষা করি ?” একটু হেসে—‘এই তো অাধ ঘণ্টা ধরে অাবশির পাশে বসে সি'র পারবে ভাবছিলে ।” ‘তা ভাবছিলাম বটে, কিন্তু শেষ পৰ্যন্ত পরা হল না। ---" —“হঁ।া, শাদা কপালে উঠে এলে —” তোমার অভিমান হয়েছে ?” ‘ভাল লেগেছে অামার অঞ্জলি ।

  • ভাল লেগেছে ? কেন ?"

‘দেখলাম, অামার মতন তোমার ও ফেঁটা-তিলকে বিশ্বাস নেই ।” অঞ্জলি একটু চুপ থেকে —“ছ-সাত দিন ধরে আর সিহঁর পরা হচ্ছে না। অামার । অামার সঙ্গে তুমি যাবে ?” ‘অন্য কাউকে যদি পা ও তা হলে অামাকে বাদ দিলেই ভাল হয় । ‘অমল যেতে পারে । —“কোন অমল ? কেদারবাবু মুসেফের ছেলে ? ‘হঁা, বেচারির বডড শখ—কিন্তু ওর বাবা একটা পয়সা ও দেয় না ।

  • অমল এখনো অাছে এখানে ?

কলকাতায় যায় নি ? ‘না: ; থাৰ্ড এম-বি ফেল করে চোরার মনে বডড কষ্ট—কয়েকদিন পরে কলকাতায় যাবে । —“সিনেমা হাউস পৰ্যন্ত আমি তোমাদের পেঁছিয়ে দিয়ে আসতে পারি – কীই-বা দরকার ? ‘না, ঐ নিরঞ্জনকে বলতাম পাশের জন্য —"

থাক, টাকা যখন পেয়েছি তখন পাশের জন্য মিছিমিছি বলতে যাবে কেন