পাতা:জীবনানন্দ সমগ্র (চতুর্থ খণ্ড).pdf/২২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

নীরব ছিলাম । রাজেন -“তবে অার চাই কী ? মানুষের জীবন একটা গাছের মত হবে না শচী নদা ? একটা মস্ত বড় জাম বা বটগাছের মত, যত ইচ্ছে তাত ফল ফলাফলিয়ে অাকাশে-বাতাসে ডালপালা বিস্তার করে, দিনরাত পরিতৃপ্তি ও প্ৰকাশ চলবে না তার ?” তুমি না ?-বছর অাগে ওয়ালটেয়ার গিয়েছিলে রাজেন ?” —“কিসের জন্য ? -“থাইসিস ৩য়েছিল। “‘বটগাছের মতন জীবন তুমি চালাৰে ? না-৩য় পেয়ারাগাছের মতই চালাতে দিন না। বিধাতা । এ যে একেবারে কাঠ কাটা পুরে ফেঁাপরা বাঁশের মত করে রেখেছে । চুটি টান দিলাম রাজেন এ স্ত্ৰীকে দিয়ে অামার কিছু হবে না। । ‘এ-রকম স্ত্ৰী তো তোমার একার না । ।” অামার জীবনের সবচেয়ে গভীর মৰ্তে সে অামাকে বাধা দেয় ।” গভীর মুর্ত তুমি কাকে বলো রাজেন ?” ‘আপনি প্ৰেমিক মানুষ হয়ে তা বোঝেন - । 1 ? সাজাহান তো কতবার বুঝেছিলেন । —“তাজ পরিকল্পনার মুহূৰ্তই তো তার সবচেয়ে গভীর মুহূৰ্ত ছিল । —“এটা বাজে ইয়াকি হল অাপনার । ‘তাই না কি ? চুটের দিকে তাকিয়ে দেখলাম আগুন নিভে গেছে । রাজেন ‘ষে-কটি বছর ধরে তার ষোলটি সন্তান জন্মাল গভীরতা ও বিহবলতায় সে কয় বছরের তুলনা হয় না আর ।” রাজেন এই রকম স্থূল ? কিন্তু তবুও সে বটগাছের কথা বলেছে । শাখাপ্ৰশাখা বহুল অাম ও বটের সবুজে সবুজে ও ডালপালার উচ্ছাসের কথা ভাবতে ভাল লাগে না তার—গরমে বৃষ্টির অবিশ্বাস্য ফেঁাটা ভাল লাগে হয় তো—সুস্থ নরম মাটির ভিতর থেকে ৪ৰ্থ—২ ১৭