পাতা:জীবনানন্দ সমগ্র (চতুর্থ খণ্ড).pdf/২৫

করে নি ।” —“করে নি বুৰি ?” —“কই না তো —- —“সারাদিনের মধ্যে টেম্পারেচার একবারও রাইজ করে না ?” ‘বুঝি না তো ।” —“যক্ষা রুগীদের আত্মতৃপ্তি বড় মারাত্মক—ভাবে যে তারা সবচেয়ে নীরোগ ।” —“না, যক্ষা অামার হয় নি ।” —“হতেই বা কতক্ষণ ? বার মাস স্ত্ৰীকে কাছে রাখেন - অাপনার শরীরের এ-অবস্থায় এটা ভাল নয় ।” —“ভাল নয় ? —“বাপের বাড়ি পাঠিয়ে দিন ।” —“বাপ নেই যে বেচারির, বাপ-মা ভাই-বোন কিচ্ছ নেই ; একজন কাকা। অাছেন ।” ‘তা হলে সেখানে থাক না। ।” —“সেখানে যেতে চায় না। ।” —“তা হলে আপনিই না হয় সরে পড়ন ।” —“না, স্ত্ৰীকে অামি অত ভয় পাচ্ছি না। রাজেন ।” —‘কী রকম !” —“সে সারাদিনই নিজের ‘ঘরে দোর দিয়ে থাকে— —“কেন ? অামি থেমে —“পড়ে । জীবনের প্রবঞ্চনার কথা ভাবে ; দাম্পতাকে অন্যায্য ভেবে দূরে সরে থাকে ! একটি মেয়ে হয়েছিল । অার-কিছু হবে না: অামাদের ।” রাজেন অনেক ক্ষণ চুপ করে থেকে —“অাচ্ছা উঠি তা হলে —” “উঠতে পারো। —“অাপনার সামনের দাতটা পড়ে গেল কি করে ?” ‘অনেক দিন থেকেই— গাত ব্যথা ।” —“কী দিয়ে দাত মাজেন ?” ২০