পাতা:জীবনানন্দ সমগ্র (চতুর্থ খণ্ড).pdf/২৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

—“উনুনের ছাই দিয়ে ।” —“আপনার উচিত একটা পপলাইলার টুথ ব্ৰাশ কেনা-—” ‘দাম কত ? ” —‘কলকাতায় চোদ অানা হবে । এখানে এক টাকা পঁাচ সিকা—অার ফরহান্সের টুথপেস্ট কিনবেন—জোনাটিইন বা লিস্টারাইন দিয়ে মুখ ধোবেন ।” রাজেন অবিশ্যি জানে এ সব বা বহার করবার কোনো সঙ্গতি নেই অামার । হয় তো একটা ঠাট্টা করল । চুটি টানছিলাম । দেখলাম পকেটের থেকে একটা পঁাচ টাকার নোট বের করেছে । বললে-“ইস্কুলে যখন পড়তাম তখন ? চার দিন পড়িয়েছিলেন--তার গুরু দক্ষিণা দিন ।” ‘তা তো হেডমাস্টার দিয়েছেন রাজেন ।” -“শুনেছি, হে ৬মাস্টার কিছু দেন নি ।” ‘কে বললে তোমাকে ? ” ‘কলেজের ৬াল ছেলেদের বিনে পয়সায় খাটিয়ে নেবার বদভ্যাস ছিল তার ।” খানিকটা সময় কেটে গেল । অামি—“রাজেন একদিন যখন তোমাদের কাছে ভিক্ষে চাইব তখন কিছু দেবে না জানি ; কিন্তু আজ ও যখন ভিখিরি সাজি নি তখন মিছিমিছি ৩ামাকে দিচ্ছ কেন ?”

  • অা ছা নোটটা তা হলে আপনার বালিশের নীচেই থাক—যাবার সময়

নিয়ে যাব – অার একটা চুরুট নিন বরং ; মুখে যেটা সেটার তো বাপান্ত হয়ে গেছে—- চুরুটা আমার মুখের থেকে টেনে টুডে ফেলে দিল রাজেন । বললে –“এইটে জ্বালান এবার ।” —“এগুলো কোথাকার চুরুট রাজেন !” “অবশ্য বামিজ নয় ; এগুলো এসেছে জাভার থেকে ।” ‘বাঃ দিব্যি তো ।”