পাতা:জীবনানন্দ সমগ্র (চতুর্থ খণ্ড).pdf/২৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

‘জ্বালিয়ে নিন ।” —“না, এটা এখন খাব না।” ‘খাবার পর খাবেন ? বেশ, সে খুব ভাল কথা ।” আরো দু-চারটা চুরুট অামার বিছানায় গড়িয়ে দিয়ে—‘নিন । কলকাতায় গিয়ে মেসে উঠবেন তো ?” একটা দীৰ্ঘনিশ্বাস ফেলে —‘একেই বলে ভবিতব্য ।” ‘চশমা নেব-নেব করছি ।” “থাক, আপনার জীবনের নিসুলতা-বেদনার ঢের অালোচনা করা গেল ; এখন আমার কথাটা শুনুন ।” ‘বলে ।” —“আপনাদের খিড়কির পুকুরের ওপারে মাধব ভটচা কে চেনেন ?” —‘চিনি বইকি —" তার মেজ মেয়েটিকে দেখেছেন ? —“কোনটি বল তো ?” ‘বছর ষোল বয়স হবে ; ছিপছিপে একহারা গড়ন বেশ ফৰ্শণ চেহারা ।” ‘হঁ্যা হঁ্যা, দেখেছি বই কি, বেশ সুন্দর মেয়েটি —‘অসামান্য সুন্দরী— নিী নাম—” রাজেন চুরুটে বড় টান দিয়ে —‘এই মেয়েটিকে নিয়ে সাধছে অামাকে —- “মাধববাবু ? ‘তার পর ?” “তার পর আমার সচরিত্ৰ হৃদয়, অামার বিবেক, এটা সাতক্ষণ ঘুমিয়ে। থাকে, সারারাত রুক্মিনীর স্বপ্ন দেখি অামি । তার পর সকালবেলা অনেক দেরি করে জেগে উঠে দেখি বোঁ ধোপার কাছ থেকে কাপড বুঝে নিচ্ছে—নিজের সুন্দর ধোপরস্ত শাড়ি কটির দিকে তাকিয়ে চোখ তার প্ৰসন্ন-পরিতৃপ্ত । অন্য একটি নারীকে এনে এই সুন্দর শান্তিকে নষ্ট করে ফেলতে ইচ্ছে করে না ।” বালিশের নীচে হাত গলিয়ে পঁাচ টাকার নোটটা নিয়ে চলে গেল রাজেন ।