পাতা:জীবনানন্দ সমগ্র (চতুর্থ খণ্ড).pdf/৩১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

—“কেই-বা দাড়াবে— ছেলেরা অত্যন্ত ভয়াবহ জিনিশ । চেনেন না। আপনি । যদি কাল হেড মাস্টার আমাকে ডেকে বলেন, কাল রাতে তুমি মজলিসে বসে চুরুট খেয়েছিলে কেন ? আমি একটুও আশ্চৰ্য হব না ; বুঝাব বিধাতা যা দেখেন না, ছেলেরা তা দেখতে পায় এই রকম অবস্থা বুৰি ?” অভয় দত্ত মুখ বিকৃত করে বললে —“অখাদ্য ! —“আপনি চুরুট খেয়েছেন হেডমাস্টারের কাছে সে কথা বলে তাদের কী লাভ ? ” ‘তারা নিজেদের চরিত্তির জাহির করে ‘আপনাদের বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ অাছে তাদের— ?” —“অামি তাদের মাস্টার এই তো সবচেয়ে বড় অভিযোগ । বিশ্বাসের জোর অাছে তা হলে তাদের ?” ‘অন্তত মাস্টারের সম্পৰ্কে সেটা ব্যবহার করার দরকার বোধ করে তারা কথা বলতে-বলতে চুরুট নিভে গিয়েছিল অভয়ের, সন্তৰ্পণে জ্বালিয়ে নিয়ে—- ‘সামাজিক ধৰ্ম ও নীতিতে অচলা বিশ্বাস না নিয়ে কেউ যেন মাস্টারিতে না। ঢোকে ।” একটু চুপ থেকে —‘জীবনের কোনো সুন্দর প্রয়াসকে শ্ৰদ্ধা করবার উপায় নেই ।” —“তাই তো দেখছি ।” ‘বোদলেয়ারের কবিতার কতকগুলো জায়গা ৬াল লেগেছিল অামার । কিন্তু হেডমাস্টার বা স্টাফ-এর কাউকে বললে অার রক্ষে নেই ।” ২৬ বোদলেয়ার, পড়েন ? ” —‘অাছে একখানা— কিন্তু মাস্টাররা কেউ জানেন না। । —“জানলেই বা কী এসে যাবে অভয় ? বোদলেয়ার হাতি না ঘোড়া বুঝবে কি কিছু ? —“একেবারে যে না-বুঝবে তা নয় ; একটা অপরিচিত বই বা অপরিচিত নামে ঢের সন্দেহ জাগে তাদের ।”