পাতা:জীবনানন্দ সমগ্র (চতুর্থ খণ্ড).pdf/৩৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

করতে পারবে না—এ-কথা শুনলে তাদের পেট ফুলে উঠবে। পঁয়তাল্লিশ টাকার বিনিময়ে যে কাজগুলোকে আমি অতান্ত অখাদ্য বলে বোধ করি—সেই মত কাজই তাদের অত্যন্ত প্রিয়—তারা ভালবেসে সে সব সম্পূৰ্ণ করে ।” অার ছেলেরাও এই জন্যই তাদের ভালবাসে বোধ কবি ।” হঁহা--ছেলেদের না দিন-রাত প্ৰয়ে-ভয়ে... । অনেক কথা বললাম অাপনাকে ; কাউকে বলবেন না। । কিছু মনে করবেন না, কিন্তু কোনে বিশ্বাস নেই “কী রকম ? ‘চাকরি তো কোনোদিন করেন নি ---বুঝবেন না । কিন্তু ছ-বছর চাকরি করে বডড অমানুষ হয়ে গেছি চুপ করে ছিলাম । অভয় — পোটের পাকা চাকরি থাকলে অামার রমেনের মত হত । কিন্তু দেশী লোকের কাছে চাকরি করতে-করতে মানুষ দাক্ষিণ্য, বিশ্বাস, প্ৰেম সমস্ত হারিয়ে বসে । মাথা হেঁট করে কুষ্ঠিত হয়ে হাসতে লাগল অ ৬য় । অভয়—“হৃদয় বলে কোনো জিনিশ নেই অামাদের । একটু গলা খাকরে- -- “সাহস বলেও কোনো জিনিশ নেই । বললামই তো। অমানুষ আমরা—সব সময়ই ভয়, কে চাকরি খোয়ায় কী করে চাকরি এ জায় থাকে ।” অামাকেও ভয় পাচ্ছেন.তাই ? —“একেবারে যে নিৰ্ভয় পাচ্ছি তাও তে বলতে পারি না। । দেখলাম অন্ধকারের মধ্যে জানালার দিকে তাকিয়ে—এই তো অাপনি অনেক দি । চাকরি না পেয়ে বসে অাছেন । অামি সব কথা বলে ফেললাম অাপনাদের কাছে—আপনি হয় তো হেডমাস্টারের কাছে লাগাবেন —“হেডমাস্টার অামার কথা বিশ্বাস করবেন কেন ?” —‘রং লাগিয়ে বললে বিশ্বাস করবেন বই কি । এক-এক জনের এমন আন্তরিকভাবে বলবার ক্ষমতা থাকে যে মানুষকে বাধ্য হয়ে বিশ্বাস করতে হয় | তাকে বিশ্বাস করিয়ে অামার লাভ কী ?”