পাতা:জীবনানন্দ সমগ্র (চতুর্থ খণ্ড).pdf/৪২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

—/উঠে এসো অঞ্জলি । —“আমাকে তুমি অঞ্জলি মনে করো ? তোমার ?” — কী মামলুক—আমি কোনো ভুল করি নি তো ; আমার স্ত্ৰী এখানে এসে বসেছে কেন ?” “; অামরা এখন ঘুমোতে যাই ; বিদায় নেবে ? ” যাও যাও একটা গভীর ঠাণ্ডা বাতাসে সমস্ত অন্ধকার হয়ে গেল । জেগে উঠে দেখলাম স্বপ্ন দেখছিলাম, সমস্ত গভীরে কেমন বিচিত্ৰ অাম্বাদ এমন বিচিত্ৰ স্বপ্ন বড় একটা দেখি নি তো । এ প্লের মানেই বা কী ? কাকে জিজ্ঞেস করব ? এ প্ল নিয়ে অঞ্জলির সঙ্গে অালোচনা করব ? থাক । একটা গাড়ির শব্দ --অাস্তে-অাস্তে সদর রাস্তায় সজনে গাছটার কাছে এসে থামল । অঞ্জলি বায়স্কোপ থেকে ফিরে এল বুঝি ? আস্তে মশারির এক কিনার তুলে আকাশের দিকে তাকালাম : ছেড়া-হেঁড়া শাদা-কালো মেঘ ইতস্তত উড়ছে, বৃষ্টি অনেক ক্ষণ হয় থেমে গেছে, একাদশীর চঁাদ অাকাশে অনেকখানি উঠে গেছে, চাদের মুখ ঘিরে পাতলা ধূসর মেঘের একখানা ঢাকনি, সেই মামলুকের টেবিলের সবুজ বাতিটার মত মশারিটা ফেলে দিলাম । বালিশে ধীরে-ধীরে মাথা রেখে শুয়ে পড়লাম । খানিকটা সিগারেটের গন্ধ । অমল খাচ্ছে বোধ হয়— চারজোড়া লপেটার শব্দ -জামগাছের বু'টি ধরে বাতাস চিড়-চিড় করে খানিকটা আনমনা বক-বক উড়ে চলে যাচ্ছে —তাদের করুণ অস্পষ্ট আওয়াজ—বি-বি-র ডাক—বৃষ্টির অভাবে অাখখুটে ব্যাঙের চিৎকার, ঘরের ভিতর বাতাসে ভেসে আসা কয়েকটা জোনাকি । ৩৭