পাতা:জীবনানন্দ সমগ্র (চতুর্থ খণ্ড).pdf/৪৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

—“গোটা দশেক সেই ফুল কুড়িয়ে পাঁচটা-পাঁচটা করে তোড়া বেঁধে আপনার কানে দুলিয়ে রাখলে বেশ হয় কিন্তু ।” —‘এই মাকড়ি দুটো গড়তে পঁচিশ টাকা লেগেছিল’, একটু চুপ থেকে অঞ্জলি, “শুনলাম সোনার দাম এখন বেড়েছে—- —‘জানি না। ।” ---“আচ্ছা তা হলে এই গয়না দুটোর দাম ত্ৰিশ টাকা হয় না ?” “হতে পারে— তিন শ টাকা দিয়েও তো কেউ কিনে নিতে পারে—” কেন ? ” “হয় তো মনে ধরে গেল ; আপনার কানে দুলছে --হয় তো মনে ধরে গেল তার — অামাকে একটু জল দেবেন ?” “এমনি জল খাবে—না মিষ্টি দিয়ে দেব ?” ‘না, শুধু এক প্লাস জল ‘কয়েকটা লেবুপাতা কচলে দেব ?” —“কী যে অাজগুবি আপনার —” —“জলের ভিতর সুন্দর গন্ধ হত —” ‘তেষ্টার সময় মানুষ সুন্দর গন্ধ চায় ?” ‘চায় না ? তা হলে সুগন্ধি সিরাপ খায় কেন ?” —“কিন্তু রকমফের জানে না যে-হাত সেই নারী হাতের সাধারণ খাঁটি জলের চেয়ে গভীর জিনিশ পৃথিবীতে আর কিছু নেই অঞ্জলি বোঁদি । ‘কল্পনা তোমার অনেক দিকেই খেলে দেখছি অমল—” ‘হঁ্যা, কল্পনা মাত্ৰ ; জীবনের অভিজ্ঞতা অামার বডড কম ।” ‘কম ? তাই না কি ?” —“সেই জন্যই যেমন অবসাদ তেমনি আকাজক্ষণ, তেমনি পরিতৃপ্তি, সবই চূড়ান্তে চলে যায় অামার—” —“এ ঘরে কিন্তু একটা পাথরের গেলাস আছে শুধু অমল ; তাতে জল দিলে হবে ? ” “কঁ্যাসার প্লাসের চেয়ে সে ঢের ভাল জিনিশ হবে অঞ্জলি, পাথরের প্লাসটা কি শাদা ? ” —“কালো’