পাতা:জীবনানন্দ সমগ্র (চতুর্থ খণ্ড).pdf/৫০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

‘কেন, খাপ খায় না ?” ‘ভেবে দেখ তুমি—- —“তা হলে— অাকাজক্ষা করুন--” —“তোমার টৰ্চটা একটু রেখে যাবে ?” —‘বিছানার উপর অনেক অাগেই তো রেখে দিয়েছি । ‘কারবাইডে অালো অাছে তো ?” তিন ঘণ্টার মত অাছে ।” ‘অামার শাড়িতে কোথায়-কোথায় কাদা লাগল তাই দেখব ।” ‘দেখতে কতক্ষণ লাগবে অাপনার ?” ‘তুমি বাড়ি চলে গেলে তবে তো দেখব । ‘ট আপনার কাছে রেখে চলে যেতে হবে ? —“হঁ্যা, টর্চের অালোয় বেশ পরিচার ভাবে বোঝা যায় ।” ‘অার অন্ধকারে অামাকে সাপ কামড়ালে অামি ও অপরিস্কার করে বুঝব না অঞ্জলি বোঁদি ।” অঞ্জলি —‘কাকে ?” ‘অাপনাকে নয়—জীবনটাকেই । মিছেমিছি অভিমান করো কেন অমল ? জীবনটাকে যখন বুঝতে অরম্ভ করবে তখন অামার কথা মনেও থাকবে না তোমার । তেঁতুল গাছটার নীচে দাড়িয়ে দেশলাই জ্বালাল , খানিকট সিগারেটের গন্ধ, তাস্তে-অাস্তে চলে গেল । পুরবেলা ঘুম আসছিল না- মোতে চেষ্টা করি, কিন্তু কী জানি কেন কোনোদিনও পারি না । শ্রাবণের অাকাশ, তবুও বৃষ্টি ছিল না, বেশ খটখট রোদ খানিকটা দূরে শুকনো অশ্বরে পাতা। কদমের কেশর অার ‘াস ফড়িং অার বেলের কুণ্ডিতে রয়েছে ছেয়ে । অনেক দিন পরে প্ৰজাপতি নেমে পড়েছে ; বিং-বিং প্ৰাণ খুলে ডাকছে ; কয়েকটা শালিখা অার দাড়কাক—একটি অাগস্তুক বেী-কথা-কও অশ্বথের নিবিড ডালপালার ভিতর নিস্তকে খুনসুডি করে ফিরছে : অাবার যেন জৈাষ্টের দুপুর ফিরে এল । 8৫