পাতা:জীবনানন্দ সমগ্র (তৃতীয় খণ্ড).pdf/১৪৮

কোথায় ?” —‘সেগুলো রেখে এসেছি।’ —মাদ্রাজে ? —না, কলকাতায়ই।’ —সুন্ ন ন ন ললে কা *= -o- on s' —বরাবরই ফাস্ট ক্লাসেই তো আসতে।’ —তা আসতাম—’ —‘এবার ইন্টারের টিকিটও কুলোল না বুঝি। মাথা নেড়ে—না।’ —ব্যবসা বড় সাধনার জিনিশ; কিন্তু শেষ পর্যন্ত এই রকমই হয়। আমি বুঝেছি তুমি ফতুর হয়ে গেছ। একটু চুপ থেকে—যা-ক। খাওদাও, বিশ্রাম করো কিছুদিন। এর পর কী করবে ভেবে দেখো।' বাবা কোনো কথা বললেন না আর । মা দাড়িয়েছিলেন, বললেন—‘চা খাচ্ছ না যে?? —‘এই বার খাব।” ——চা ঠাণ্ডা হয়ে গেল যে—ব্যবসায় খুব লোকসান হচ্ছে এবার? একটা টোক গিলে—“হ্যা বাজার বড় খারাপ। —“তা চা খাও।” —'খাই।’ ao পেয়ালাটা একবার থুতনি অবধি নিয়ে —‘এ-বছর তোমাদের কিছু পাঠাতে ते निी ' —আহা, তাতে আর কী হয়েছে? তাতে আর কী ? —কবে যে পাঠাতে পারব তাও বুঝে উঠতে পারছি না।’ দুজনেই নিস্তব্ধ হয়ে রইলেন। মা একটু চুপ থেকে—তা, ব্যবসার অবস্থা এই রকম হল। একটা টোক গিলে—“দেখছি তো।” —‘প্রথম বছর তোমার কত লাভ হয়েছিলে যেন ? —ব্যবসায় লাভ লোকসান ও-রকম ভাবে হিসাব করা যায় না।’ বাবা—‘পনেরো হাজার টাকা লাভ হয়েছিল। —‘টাকাটা ব্যাঙ্কে রেখে দিয়েছিলে তুমি ? —না, ব্যাঙ্কে কেন, ব্যবসায় খাটালাম।” মা মাথা নেড়ে, ‘তোমার করা উচিত ছিল না।’ —’না হলে ব্যবসা কী করে চলে ?’ —তাই বলে পনেরো হাজার টাকা জলে দিতে হবে?’ মা অনেকখানি দমে গেলেন। —ব্যাপারটা তুমি ঠিক করে বুঝলে না মা। —“তুমিই বা কী বুঝলে ? শেষ পর্যন্ত লোকসানই যদি দিতে হয়, ঠকেই যদি আসতে হয় শুধু—তা হলে বোঝা না-বোঝা কোনো কথাই ওঠে না। >QO