পাতা:জীবনানন্দ সমগ্র (তৃতীয় খণ্ড).pdf/১৬০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

জল অনেক বছর পরে এখন আবার দেখা;—ভালো। চারিদিকে কলকাতার হেমন্তের বিকেল নিভছে; গ্যাসল্যাম্পে বেশি আভা—আকাশে নক্ষত্ৰলোক হতে কম আলো—কোথাও প্রকৃতি নেই—কিংবা তার ভিতরের পাখি উচ্ছল পাতার মতো শব্দ হয়, জেগে ওঠে কলকাতার ফুটপাথে ল্যাবারনাম গাছে নারীকে শুধানো যেত—তবু নিরুত্তর হয়ে আছে বারো বছরের আগের মনের ভিতরে দূরদেশে; যেন গর্ভিণীর মতো —অজাত শিশুর ধ্যানে চুপ রূপকে এ-সব কথা ভেবে নিয়ে আমি বুঝেছি, বুঝেছে সব—আমারি মতন অন্তর্যামী। তার পরে বেশি হাসে কথা বলে দোকানের কেনাকাটা করে আমি জল—তবু যেন অন্য কোন জল এসে পড়ে চোখে মুখে নাড়ীর কম্পনে তার জানি কোনো দূর অন্ধকারে অবিরল ঋণী যে কী ঝরঝরানি এ নারীকে দেনা নিয়ে, অপর জলের দূর দেশ থেকে শোনা যায়— সে এই নারীর স্বামী অথবা প্রেমিক তবু জলের মতন যেন ঠিক! ক্রমে সুদ খুব বেশি জুলে। সব জ্ঞান ধর্ম উদ্যমের চেয়ে জল ভালো বলে সৃষ্টির অন্তিম কথা অন্ধকারে জল। ১৬২