পাতা:জীবনানন্দ সমগ্র (তৃতীয় খণ্ড).pdf/১৭০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

নিকট সংস্পর্শে এসে শান্ত শাস্তিকাম হবে নাকি আমাদের শতকের অবিশ্বাসী অধীর মানুষ কবে সে উজ্জ্বল হবে প্রিয় হবে সহৃদয় হবে - পৃথিবীর অগণন সহোদর জীবনের তারে। সাগরকষ্ঠের মতো রাত্রি বাতাস অন্ধকারে আমাদের শরীরের শুভ্রশছে কেমন বিধৌত হয়ে উচ্ছলিত হয় মানুষের কানে কানে কথা বলে সমস্ত আকাশ সহসা সুদূরে গিয়ে আধো পরিচিত মহিলার নীলিমা কি প্রকৃতির ? অথবা সাধনোচিত নারীর প্রতিভা ? পাখিদের ডানাপালকের থেকে বিকেলের আলো নিভে গেলে রাত্রির নক্ষত্রেরা হৃদয়ের কৃতার্থতা ভেঙে কথা কাজ চিত্তা স্বপ্ন অকুতোভয়তা নিজের স্বদেশে এল— এই সব অবিরল উৎসারিত বন্ধুর মতন সমাজের শুভ দিন প্রণয়নে অহেতুক নির্দেশের মতো আশ্চর্য প্রাণের উৎসে রয়ে গেছে শতাঙ্গীর আঁধারে আলোকে কেউ তাকে না বলতে এ পৃথিবী সকালের গভীর আলোয় দুপুরের জল তার, কেমন কর্কশ ক্রমদনে কেঁপে ওঠে প্রকৃতির ভালো জল—সঞ্চারিত নদী মানুষের মূঢ় রক্তে ভরে যায়—সময় সন্দিগ্ধ হয়ে প্রশ্ন করে ; নদী নির্বারের থেকে নেমে এসেছে কি ? মানুবের হৃদয়ের থেকে ? শুভ্র হবে, কখন উন্নত হবে, মানুষের নিজের হৃদয়। Ꮌ ᏄᎸ