পাতা:জীবনানন্দ সমগ্র (তৃতীয় খণ্ড).pdf/২৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

‘এইগুলো অত্যন্ত মেচ্ছ বই।’ সময় কাটে মন্দ না।’ চণ্ডাল দিয়ে এই সব বই পোড়াতে হয়।

  • কেন ??

সময় একটা নিষ্ঠাহীন চঞ্চলতা। রমেশের হয়েছেও তাই। মানুষের জীবনের দুটো গুরুত্বপূর্ণ কথা নিয়ে আলোচনা করবার মতো না-আছে রুচি, না-আছে শক্তি—ভগবানকে নিয়ে রোজ দু দণ্ড বসবার মতো অবসর সে খুঁজে পায় না। একখানা ভালো বই ಆ PG ಆಡ “ಕೌ ಕ ಸ ಾ ತ ಣ ಣ ु ।’ ‘ক্রাইম নভেল অবশ্য আমি পড়তে পারি না।’ শয়তান ছাড়া কেউ পারে না।’ কিন্তু সেক্স নভেল পড়েছি ঢের।’ আর পোড়ো না; তার চেয়ে বরং হকিং পড়ো’ হকিং ?’ হ্যা আর হাচিংসনের। অবিশ্যি এ সব বই কোনোদিন পড়ব না আমি; পড়লে না-হয় রাস্কিন পড়ব আর-একবার, কিংবা টলস্টয় অথবা—।’ মেজকাকাকে বললাম, ‘নভেল পড়ে সেজকাকা ইংরেজি লিখতে শিখেছে বেশ। হুম, সাহেবদের সঙ্গে দুটাে ইংরেজি বলতে পারে না।’ ‘পারে না ?” ‘চোখ ঠিকরে বেরিয়ে আসে।” ‘তা হলে এত উন্নতি হল কী করে ? সামান্য পোস্ট থেকে একেবারে গ্রেড ? আমড়াগাছি। খোশামুদি। তা ছাড়া আবার কী? পায়ে তেল মেখে-মেখে। আহা পকেটে ওর সব সময়েই তেল। রমেশের জন্য তেল জোগাড় করতে গিয়ে বিও-সি সাবাড় হয়ে গেল।’ হাসছিলাম। মেজকাকা—অত আমড়াগাছি যদি আমাকে দিয়ে করাতেন ভগবান, তা হলে সা করে কমিশনার হয়ে যেতাম। ডানে-বায়ে তাকাতে হত না আর। গলার আওয়াজের ভিতর যেমন বিষ, তেমন ঈর্ষা। তেমনি ক্ষোভ ও যন্ত্রণা। ছটফট করতে-করতে মেজকাকা—বারোশো তলব মারলেই যদি মানুষ ভালো ইংরেজি বলতে পারত তা হলে সুরেন বাড়ুয্যে আনন্দমোহন বোসকে অত কষ্ট করে ইংরেজি শিখতে হত না। একটা দারোগার কাজ নিলেই ল্যাটা চুকে যেত। টেন্সএর জ্ঞান নেই।’ ‘কার ?” հի রমেশের। একটা থার্ড ক্লাস-এর ছেলেও তো বোঝে যে যদি পাস্ট টেন্স...’ কিন্তু চুপ করে গেলেন মেজকাকা। গ্রামারের অনাবশ্যক আলোচনার কোনো দরকার বোধ করলেন না। গলা খাকরে, আই-সি-এস-এর কাছে মেয়ের বিয়ে দিয়েই দেমাক বেড়েছে রমেশের। তোমাদের ডেকে জিজ্ঞেস করে? একখানা চিঠি লিখে শুধোয় ? একটা ২৭