পাতা:জীবনানন্দ সমগ্র (তৃতীয় খণ্ড).pdf/৪৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

—‘আমিই দিচ্ছি।’ নিজেই বন্ধ করলেন। চেয়ারে খানিকক্ষণ চুপ করে বসে রইলেন, পরে ধীরে-ধীরে বললেন—‘এত বুড়ো বয়সেও স্ত্রী যে আমার বেঁচে আছে, রোজগারের জন্য বিদেশে-বিদেশে ঘুরতে হয় না যে আমাকে, এমনি নিরিবিলি শান্ত শ্রাবণের রাতে দেশের বাড়িতে নিজের বিছানায় যে শুয়ে থাকতে পারি—অনেকবার আমার জীবনের এই সব সমস্যার శా ఇగి, R కాe ** a : * !' দুজনেই চুপ করে ছিলাম। —“দেশের বাড়িতে একাদিক্রমে সত্তর বছর কাটানো বড় কঠিন জিনিশ, একটু চুপ থেকে, যাক, কাটিয়ে দিয়েছি।” বললেন—“তোমার মাও কাটিয়ে দিয়েছেন। বিধাতা যদি এসে বলেন, ‘জীবনের శ్లా శా ఈ శా శా శాకా * శా प्नो७ ।।' তেঁতুল গাছের ডালপালার ভিতর কয়েকটা বক বকবক করে ডেকে উঠল। বা দে-মে মা এখনো আসেন নি ?” —“রান্নাঘরে আছেন?’ —‘দক্ষিণের ঘরে মেজকাকার সঙ্গে গল্প করছেন বোধ করি’ —বউমা কোথায় ?” —'খুকিকে নিয়ে ঘুমিয়েছেন দেখে এসেছি। —“তোমার ঘর আজ যে বড় অন্ধকার করে রেখে দিয়েছ, আলো জুলো নি যে ?” —“জুলি নি, এমনি।’ —‘রোজই তো আলো জুেলে পড়াশোনা করো।’ —আলোটা মেজকাকার জন্য নিয়ে গেছেন।” —"কে ?” —‘পিসিমা ।” —‘কেন ?" —“মেজকাকার ও-ঘরের আলোর চিমনি ফেটে গেছে।’ —ওঃ, তা হলে আমাকে আগে বলো নি কেন ? —‘আলোর দরকার বোধ করি নি আজ আর।” —‘লাগলে আমার দেরাজ থেকে মোমবাতি নিয়ে এসো।’ —“তা আনিব।" . —“তোমার এদিকের জানলা খুলে রেখেছ দেখছি— ঢুকেছে, লেবু ফুলের গন্ধ পাচ্ছ, বাবা ? বাবা একটু চুপ থেকে—‘হ্যা, অন্ধকারে কেমন একটু হালকা গন্ধ। একটা নিশ্বাস ফেলে—‘এমনি পাড়াগার এই সব রাত তোমার খুব ভালো লাগে ৪৯