পাতা:জীবনানন্দ সমগ্র (তৃতীয় খণ্ড).pdf/৬০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কি চলে যেতে হয় ? একটু চুপ থেকে—‘কথা বলছ না যে? : . আমার গালে একটা টোকা দিয়ে একটু হাসতে চেষ্টা করল কল্যাণী। বললে—মজের সেফটিফিন কটা খুলে—তার পর, নাও, বুক নিয়ে কত পরীক্ষা করতে পার দেখো।' সেফটিপিন খুলে দাঁত কামড়ে—’নাও তোমার বুক। কয়েক মুহুর্ত কেটে গেল। কল্যাণী, কেমন দেখলে ? খুব গরম? একটু হেসে—যা দেখলাম তা তোমাকে বলব কেন কল্যাণী ? —‘ভালো কথা; দেখা তো হল, এখন সেফটিপিনটা আটকে দি ? -*प्रN3 ।।' —তোমার মাথাটা আমার বুকের ওপর একটু রাখবে? –‘মিছিমিছি কী আর দরকার ?’ —“কিন্তু আমার যদি ভালো লাগে?” —আচ্ছা বেশ।" কল্যাণী মাথাটা সরিয়ে দিয়ে, না না থাক্। —“কেন ?? —না আমার আর প্রবৃত্তি নেই। তাড়াতাড়ি সেফটিপিন দিয়ে শেমিজ আটকে ফেলে বললে—“তেঁতুল আর মরিচপোড়া দিয়ে ভাত খাই বটে—কিন্তু অনেকগুলো ভাত খাই। খিদেও আছে—মরব না, ভয় নেই। তুমি এখন ঘরে গিয়ে সুস্থিরে ঘুমোতে পার।’ নিস্তব্ধ হয়ে বসে আছি দেখে, কল্যাণী, আচ্ছা বেশ, কাল থেকে না হয় পাস্তা তেঁতুল আর খাব না।’ —‘কী খাবে ?’ —যা খাওয়াবে তাই খাব।” —‘পোলাও, মাংস খাওয়াবার শক্তি তো আমার নেই।’ —'চাইও না; কোনোদিন আমাকে মাংস খেতে দেখেছ?” —‘মাংস পেলে তো খাবে।’ —‘এ তিন বছরে অন্তত সাত-আট বার এ বাড়িতে মাংস আনা হয়েছে, কল্যাণী একটু হেসে, এমন কোনো ঠাকুর-বাবুর্চি পাবে না তুমি কোনো দেশে, এমন কোনো মশলা পাবে না তুমি পৃথিবীতে যার রান্নার গুণে মাংস আমার কাছে তৃপ্তির জিনিশ হয়ে উঠবে কোনোদিন। —ভালো তো, কিন্তু যাক সে কথা, কিন্তু আমরা যা খাই তাই খাবে কাল থেকে। —“আচ্ছা।’ —‘একলা খাবে না।’ -नों |' —আর একটু দুধ খাবে।’ —দুজনে খাব নিশ্চয়ই।’ একটু চুপ থেকে কল্যাণী, কিন্তু মাঝে-মাঝে পান্তা আর তেঁতুল খাব। \అచి