পাতা:জীবনানন্দ সমগ্র (তৃতীয় খণ্ড).pdf/৮২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

—ভিজিট দেব, বেশ পাকা ডাক্তার, খুব অমায়িক, ভদ্র মানুষ। —কিসের জন্য আনবে তাকে বাবা ? ' ' —'খুকিকে দেখবে, তাকে খুলে সব বলো। চুপ করে ছিলাম। —আর তোমারও ব্লাড এক্সামিন করবে। ওষুধ দেবে, হয়তো ইনজেকশন-এর দরকার হবে।’ একটু বিব্রত হয়ে—কিন্তু মেজকাকা যদিন এ বাড়িতে আছেন এখানে অবিনাশ বাবুকে না আনাই ভালো।’ —‘কেন সুরেশ কোনোদিন এর জন্য ইনজেকশান নেয় নি।’ মাথা হেট করে—নিলে তো প্রকাশ্যে নেয় নি।’ বাবা—বছর পনেরো আগে একবার কলকাতায় গিয়েছিলাম, সুরেশের বাসায় কয়েকদিন ছিলাম; গামছা ছিল না, সুরেশ একদিন আমাকে তার টার্কিশ তোয়ালেটা দিয়ে বললে, দেখবেন দাদা, এ গামছায় চোখ-মুখ মুছে অন্ধ হয়ে যাবেন না। জিজ্ঞেস করলাম, কেন এ-রকম বলছ ? বললে, ডাক্তারের নিষেধ আছে, ছেলেপিলেদের দেই না আমার ব্যবহৃত জিনিশ, কারুরই ধরবার উপায় নেই। খানিকটা বিস্মিত হয়ে বললাম, ডাক্তারের এ-রকম নিষেধ কেন? সুরেশ বললে, কামনাই বলুন প্রেমই বলুন, সে-সব জিনিশের তাড়া আমার বড্ড বেশি; কাজেই ডাক্তার, লোশন, অনেক কিছুই লাগে। কিন্তু তবুও গামছার এই দুর্দশা; পাশেই ছেলেমেয়েরা দাড়িয়েছিল তামাশা পেয়ে হাসতে লাগল। রমেশের মতিগতিও এইরকম। এই পরিবারটা যেন একটা অসুরের। অবাক হয়ে ভাবি, বাবা এমন দেবতার মতন মানুষ ছিলেন অথচ এই রকম হল কী করে।’ একটু চুপ থেকে, আজও সুরেশ রোজ সন্ধ্যায় ইনজেকশান করে বেরোয়। অনেকক্ষণ বিমূঢ়ভাবে বাবার দিকে তাকিয়ে রইলাম। —‘রাত্রে ফিরে এসে, ইনজেকশান করে আবার।’ —তাই না কি ?’ —‘নিজেই আমাকে বলে, বলে জীবন এনজয় করছি। দু-জনেই চুপ করে অন্ধকারের মধ্যে বসে রইলাম; আকাশে মেঘের ঘন গভীর আয়োজন, পেয়ারা গাছে বাদুড়ের পাখার ঝটপটানি, পশ্চিম দিকের মাঠে একটা বিড়ালছানার অবিশ্রাম কান্না—আমার কোঠার থেকে খুকির শান্ত নিশ্বাস। আরো অনেকটা সময় কেটে গেল। ༤ གྷོ་ཧ་ཨ་། ཐ་ག་། ཝ་ཐ" ཨལ་ গেলে বাবাকে—যাক, তবুও খুকিকে নিয়ে যাব s' —অবিনাশবাবুর কাছে? —‘হ্যা; তিনি এখানে না এলেই ভালো।’ —তা বেশ, তবুও ব্লাড দেখিয়ে এসো। —তা দেখালেও হয়, না দেখালেও হয়। —"কেন ?? ཡ་ཨནྡྷ་བ། འཛམ་ ཐན་ “ཨོཾ་ཨཱཿ ཨ་ཁ།༢ কোনো রোগ নেই।’ —" ?’ Ե՞8